ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নীলফামারীতে দেরিতে স্কুলে আসায় ৮ শিক্ষককে শোকজ

জেলা প্রতিনিধি | নীলফামারী | প্রকাশিত: ০৪:০৫ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২২

নীলফামারীর ডোমারে সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়ায় দুই প্রাথমিকের আট শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে চিকনমাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষক ও চিকনমাটি দোলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ আলী সরকার।

এর আগে ওইদিন সকাল ৯টায় স্কুল দুইটি পরিদর্শনে যান তিনি। এসময় নৈশ প্রহরী স্কুলের তালা খুললেও উপস্থিত ছিলেন না শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রী।

শোকজ করা শিক্ষকরা হলেন- চিকনমাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম, সহকারী শিক্ষক মনির উদ্দিন, আরতি রানী, রোকসানা আক্তার, জুলফি আরা বেগম ও সাবিনা ইয়াছমিন এবং চিকনমাটি দোলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হালিমা বেগম ও কল্পনা বেগম।

jagonews24

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী সকাল ৯টার মধ্যে বিদ্যালয় খুলেন। সকাল ৯টা ২০ মিনিটে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নবেজ উদ্দিন সরকার পরিদর্শনে গেলেও ওই সময় স্কুলে কোনো শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিলেন না। এরপর সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে চিকনমাটি দোলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে সেখানেও দুই শিক্ষকের অনুপস্থিতি দেখতে পান। পরে বিকেলে দুই স্কুলের আট শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন তিনি। নোটিশে সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না মর্মে তিন কার্যদিবসের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে।

চিকনমাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম বলেন, বুধবার স্যার ৯টা ১৮ মিনিটে আমাদের বিদ্যালয়ে আসেন। কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। আমি ৯টা ২৬ মিনিটে বিদ্যালয়ে আসি। অন্যান্য শিক্ষকরা ২-৩ মিনিটের মধ্যে চলে আসে। তবে ততক্ষণে স্যার চলে গেছেন। বিকেলে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাই।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন, আমি সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ওই বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যাই। তখন শুধু নৈশ প্রহরী বিদ্যালয়ে ছিল। ছাত্র শিক্ষক কেউ ছিল না। বিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। অন্য আরেকটি বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম সেখানে দুইজন শিক্ষক আমি যাওয়ার পর বিদ্যালয়ে আসে। তাদেরও শোকজ করা হয়েছে।

জেএস/জিকেএস