ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নীলফামারীতে বন্ধ পাঁচ রেলস্টেশন চালু হবে কবে

জেলা প্রতিনিধি | নীলফামারী | প্রকাশিত: ০৭:১৭ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২২

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত রেলপথ রয়েছে ৭০ কিলোমিটার। এই রেলপথে স্টেশন রয়েছে ৯টি। যার মধ্যে জনবল সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে পাঁচটি। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় স্টেশন ভবনগুলোর বেহাল দশা।

এদের মধ্যে কয়েকটির অবস্থা একদম নাজুক। এতে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। দ্রুত স্টেশনগুলো চালুর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। কর্তৃপক্ষ বলছে, জনবল নিয়োগ দিলে খুব শিগগির স্টেশনগুলো চালু হবে।

jagonews24

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় এক যুগ আগেই বন্ধ হয়ে গেছে জেলার সদর উপজেলার দারোয়ানী উলটপাড়া খয়রাত নগর স্টেশন। একসময় আধাপাকা টিনশেডের এই স্টেশন থেকে পার্শ্ববর্তী খানসামা, পাকেরহাট, বীরগঞ্জ ও রানীরবন্দর এলাকার মানুষরা সৈয়দপুর, পাবর্তীপুর ও ভবানীপুর যেতেন। জীবিকার জন্য এখান থেকে আলুর বস্তা নিয়ে বিক্রি করা হতো খুলনায়। তবে জনবল সংকটে স্টেশনটি বন্ধ হওয়ার পর সবধরনের কার্যক্রম স্থগিত হয়।

একইভাবে জনবল সংকটে ধীরে ধীরে নীলফামারী কলেজ স্টেশন, দারোয়ানী স্টেশন, তরনীবাড়ীসহ মির্জাগঞ্জ রেলস্টেশন বন্ধ হয়ে যায়। এতে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বাসসহ অন্যান্য যানবাহনে করে যাতায়াত করতে হয় স্থানীয়দের।

jagonews24

এদিকে প্রতিদিন চিলাহাটি থেকে আন্তঃনগরসহ মেইল ট্রেন চলে ছয়টি। স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামে বন্ধ থাকা কয়েকটি স্টেশনে। এতে টিকিট ছাড়াই ট্রেনে উঠছেন যাত্রী। ট্রেনের ভেতরে টিকিট কাটার সময় টিটির সঙ্গে যাত্রীদের বাগবিতণ্ডার ঘটনাও ঘটটে অহরহ। বিনা টিকিটে যাত্রী পরিবহন করায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

উলটপাড়া খয়রাত নগর এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন রায় জাগো নিউজকে বলেন, ‘আগে তো সব কিছু চালু ছিল। তবে ১৩-১৪ বছর ধরে এখানকার সব বন্ধ। এটা যে স্টেশন সেটাই এখন বোঝা যায় না। ট্রেনটা চললে হামার যাতায়াত করতে সুবিধা হয়।’

jagonews24

স্বপ্না রানী নামের আরেকজন বলেন, ‘আমার বাবার বাড়ি এখানে। আমার বিয়ের তিন বছর আগে এখানে ট্রেন থামতো। এখন স্টেশনটির অবস্থা ভাঙাচোরা। অনেক কষ্ট করে বাবার বাড়ি আসতে হয়। স্টেশনটা চালু থাকলে এত কষ্ট হতো না।’

ডোমারের সুপারি ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ট্রেনে গেলে খরচ কমে। কিন্তু এখন ট্রেন তো সব যায়গায় থামে না। এজন্য সমস্যা হয়। যদি বন্ধ স্টেশনগুলো চালু হয় তাহলে সহজে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সুপারি কিনতে পারবো।’

jagonews24

এ বিষয়ে নীলফামারীর সিনিয়র স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল ইসলাম রতন বলেন, বন্ধ স্টেশনগুলোর বেহাল দশার কথা আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা আশ্বাস দিয়েছেন জনবল বৃদ্ধি পেলে এগুলো আবার চালু করা হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহীর মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) অসীম কুমার তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমানে আমাদের স্টেশন মাস্টার সংকট নেই। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন। চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে বন্ধ স্টেশনগুলোতে তাদের বসানো হবে।

এসআর/জিকেএস