ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

আশ্রয়ণের ঘরে ‘আশ্রয়ে’ থাকেন তারা

জেলা প্রতিনিধি | ঝালকাঠি | প্রকাশিত: ০৯:২১ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

ছোট বেলায় বাবা-মাকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন ইসমাইল হোসেন। কোনো কুল-কিনারা না পেয়ে চট্টগ্রামে চলে যান ইসমাইল। সেখানে বিয়ে-সংসার শুরু করেন তিন। স্ত্রী ও চার মেয়েকে নিয়ে কোনো মতে দিনাতিপাত করতেন তিনি। দুজনের উপার্জনের টাকায় বড় দুই মেয়েকে বিয়েও দিয়েছেন সেখানে।

জমানো সব টাকা খুইয়ে অসহায় হয়ে পড়েন ইসমাইল। চট্টগ্রামে অবস্থান করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ায় তারই চাচাতো ভাই মজিবর রহমান তাকে গ্রামে চলে আসতে বলেন। কিন্তু গ্রামে ইসমাইলের কোনো জমি নেই। মজিবর আশ্রয়ণ প্রকল্পে তার জন্য বরাদ্দ ঘরে ইসমাইলকে থাকতে দেন। এখন ওই ঘর ছেড়ে দিতে অনুরোধ করছেন মজিবর। নতুন করে বিপাকে পড়েছেন তিনি।

ইসমাইল হোসেন ঝালকাঠি রাজাপুর উপজেলার আঙ্গারিয়া গ্রামের ইয়াকুব আলী ছেলে।

ইসমাইলের স্ত্রী ফাতেমা বেগম জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা চট্টগ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতাম। ভাসুর মজিবরের পরামর্শে গত ৫ ডিসেম্বর এখানে চলে আসি। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ওই ঘরে মজিবর আমাদের থাকতে দেন। এখন তিনি এ ঘরে উঠবেন এ জন্য আমাদের চলে যেতে বলছেন। কিন্তু আমরা কোথায় যাবো?

jagonews24

তিনি বলেন, ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। থাকার জায়গা না থাকায় ভাসুরের ঘরে থেকেছি। আমরা আমরাও ঘরের জন্য আবেদন করেছি। ঘর পেলেই সেখানে চলে যাবো।

ঘরের মালিক মজিবুর রহমান জানান, আমার চাচাতো ভাই অসহায়। তার কোনো জমিজমা নেই। আমি কাজ করার সুবাদে রাজাপুরের বাইপাস এলাকায় বাসা ভাড়া থাকি। চাচাতো ভাইকে আমার ঘরে থাকতে দিয়েছি। তারা অন্য কোথাও ঘর পেলে আমি ওই ঘরে উঠবো।

ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আলম জানান, যাদের নামে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তারা যদি ওই ঘরে না থাকেন তাহলে বরাদ্দ বাতিল করা হবে। সেখানে অন্য অসহায়দের নাম অন্তর্ভুক্ত করে বরাদ্দ দেওয়া হবে।

আতিকুর রহমান/আরএইচ/জিকেএস