ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

হবিগঞ্জে ৪ শিশু হত্যা : কিলিং মিশনে অংশ নেয় ৬ ঘাতক

প্রকাশিত: ০৩:০৮ এএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামে ৪ শিশু হত্যায় অংশ নিয়েছিল ৬ ঘাতক। ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় অপহরণের রাতেই তাদের শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। আর গভীর রাতে বস্তায় করে নিয়ে ইছা বিলে মাটিচাপা দেয় ঘাতকরা। শুক্রবার এমনই লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে ঘাতক রুবেল। হবিগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহমেদ খোন্দকারের আদালতে সোয়া ২ ঘণ্টাব্যাপি জবানবন্দিতে সে এসব বর্ণনা দেয়।

বর্ণনায় সে বলে, আব্দুল আলী বাগালের হুকুমেই তাদের হত্যা করা হয়। শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ওই গ্রামের বাচ্চু মিয়া সিএনজি অটোরিকশায় করে ৪ শিশুকে ধরে নিয়ে যায়। ওই রাতেই তাদের হত্যা করা হয়। রাতেই মরদেহগুলো বস্তায় করে নিয়ে ইছা বিলে বালুতে পুঁতে রাখা হয়। হত্যায় অংশ নিয়েছিল রুবেল, তার বড় ভাই আরজু, অটোরিকশা চালক বাচ্চুসহ আরও ৩ জন।

১২ ফেব্রুয়ারি(শুক্রবার) বিকেলে পার্শ্ববর্তী তাকিয়া গ্রামে খেলা দেখতে যায় সুন্দ্রাটিকি গ্রামের মো. ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার দুই চাচাতো ভাই আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) ও আবদাল মিয়ার ছেলে মনির মিয়া (৭) এবং তাদের আত্মীয় আবদুল কাদিরের ছেলে ইসমাঈল হোসেন (১০)। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেদিন খেলা হয়নি। তেমন কেউ মাঠে যায়ওনি। এ সুযোগকেই কাজে লাগায় ঘাতকরা। রাস্তা সুনসান হওয়ার সুযোগে শিশুদের বাচ্চু মিয়ার সিএনজি অটোরিকশায় তুলে ফেলে ঘাতকরা। তাদের অজ্ঞান করে নিয়ে যায় বাচ্চুর গ্যারেজে।

রুবেল জানায়, পঞ্চায়েতের নেতৃত্ব, সামাজিকভাবে হেয় হওয়া, এক ঘরে হওয়া এসবই ছিল হত্যার মূল কারণ। এসব কারণে দীর্ঘদিন তারা পুঞ্জীভূত ক্ষোভে ফুঁসে উঠে। এক পর্যায়ে পরিকল্পনা নেয় এসব শিশুদের হত্যার। এর অংশ হিসেবেই এসব হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

এদিকে, বাচ্চুর গ্যারেজ থেকে রক্ত মাখা পাঞ্জাবি ও বস্তা উদ্ধার করে পুলিশ। ঘাতক আরজুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় সাবল।

এর আগে বিকেল ৫ টায় রুবেলকে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহমেদ খোন্দকারের আদালতে নেয়া হয়। সোয়া ৫টা থেকে শুরু হয় জবানবন্দি। চলে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। রাত ৮ টায় পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কিলিং মিশনে অংশ নেয়া ৩ জনের নাম প্রকাশ করেন। তিনি বর্ণনা দেন হত্যার। পলাতক থাকায় অন্য ৩ জনের নাম গোপন রাখেন তিনি।

এখলাছুর রহমান খোকন/এসএস/এমএস