মেয়াদপূর্তির দুই বছরেও মিলছে না বিমার টাকা
বান্দরবানে বিমার টাকা পেতে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের অফিসে অফিসে ঘুরছেন আবদুল গফুর নামের একজন গ্রাহক। মেয়াদপূর্তির প্রায় দুই বছরেও পাননি বিমার টাকা।
ক্ষুব্ধ হয়ে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে বান্দরবান সদরে চেয়ারম্যান মার্কেট অফিসে অবস্থান নেন ওই গ্রাহক।
আবদুল গফুরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১২ বছর আগে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের বান্দরবান শাখায় ৫৭৭২ টাকায় ১০ বছর মেয়াদে দুটি বিমা করেন। ১০ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় ২০২১ সালের ২৫ জুন বিমার কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়। এর এক মাসের মধ্যে দুই বিমার দুই লাখ ৩১ হাজার ৪৪ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। পরে এক লাখ ৪৫ হাজার ৮৬৭ টাকা দিতে রাজি হয়। কিন্তু আজও সেই টাকা পাননি।
আবদুল গফুর বলেন, ‘অসুস্থ হয়ে স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি। তার চিকিৎসার জন্য টাকা প্রয়োজন। কিন্তু প্রাপ্য টাকা পাচ্ছি না। কবে দেবেন তাও নির্দিষ্ট করে বলছেন না।’

এ বিষয়ে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের বান্দরবান শাখার ক্যাশিয়ার নাঈম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘গ্রাহক আবদুল গফুরের বিমার মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে দেড় বছর আগে। কাগজপত্র হেড অফিসে পাঠিয়েছি। তবে সেখান থেকে না এলে আমি কিছুই করতে পারছি না।’
তিনি আরও বলেন, বান্দরবানে বর্তমানে পাঁচ শতাধিক গ্রাহক রয়েছেন। এদের মধ্যে ৭০ জনেরও বেশি গ্রাহকের বিমার মেয়াদ পূর্তি হয়েছে। তাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
এ বিষয়ে মোবাইলফোনে জোনাল অফিসার মুজিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ম্যানেজার আবদুল কায়েসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
ম্যানেজার আবদুল কায়েস জানান, তিনি বান্দরবান শাখার কোনো দায়িত্বে নেই। তবে এই অফিসের দায়িত্ব নিতে কোম্পানি থেকে তাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
কেরানীহাট সার্ভিস সেন্টার শাখার ম্যানেজার মাহামুদুল করিম জানান, ২০২০ সালে কোম্পানির ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের অনিয়মের কারণে সারাদেশে বেশকিছু গ্রাহকদের টাকা প্রদান কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল। সেগুলো এখন ক্রমান্বয়ে দেওয়া হচ্ছে।
নয়ন চক্রবর্তী/এসআর/এএসএম