জেঁকে বসেছে শীত
মাগুরায় অভিজাত দোকানে ভিড় বাড়লেও প্রায় ফাঁকা হকার মার্কেট
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা মাগুরায় বেড়েছে শীত। বিগত কয়েক বছর ধরে মাগুরাসহ এ অঞ্চলের জেলাগুলোতে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বাড়ে শীতের তীব্রতা। এরই মধ্যে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে। তবে অন্য সময়ের তুলনায় দাম বেশি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে ক্রেতারা।
এ জেলায় সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষদের ভরসা শহরের পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলো। কিন্তু এবার সেখানে নতুন পোশাকের আমদানি কম। এতে করে অন্যসময়ের তুলনায় সবকিছুর দাম বেশি।
মাগুরা শহরের সৈয়দ আতর আলি সড়কের প্রধান ডাকঘরের সামনে ও কাউন্সিল পাড়া সড়কের পাশের দোকানগুলো পুরাতন কাপড়ের জন্যে বেশ পরিচিত। এসব দোকানে আসা সাধারণ ক্রেতাদের সঙ্গে কথা হলে তাদের অধিকাংশই দাম নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রেতা বলেন, গত বছর যেসব সোয়েটার ৩০০ টাকায় কেনা গেছে এবার তার দাম ৫০০ টাকার বেশি। আবার দোকানগুলোতে এবার গরম কাপড়েও বেশি নেই। এতে করে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্যে এবার গরম কাপড় কেনা কষ্টকর।
বিপ্লব কাজী নামের একজন ক্রেতা বলেন, সবকিছুর দামই এখন বেশি। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শীতের কাপড়ের দামও বেড়ে গেছে। যা কেনা আমাদের সাধ্যের বাইরে।

সৈয়দ রাসেল নামে একজন বিক্রেতা বলেন, আমার দোকানে মান অনুযায়ী ৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা দামের কাপড় আছে। প্রতি বছরই ১৫ থেকে ২০ বেল কাপড় বিক্রি করতে পারলে লাভ উঠে যায়। কিন্তু এবার শীত পড়তে শুরু করলেও ক্রেতাদের উপস্থিতি একেবারেই কম। দিনে হাজার বারশ টাকার বেশি বিক্রি হচ্ছে না।
শহরের পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী আজাদ বিশ্বাস বলেন, গত বছরও ১৫ বেল গরম কাপড় বিক্রি করেছি। কিন্তু এবার ৭টি বেল খুলেও বিক্রি করতে পারছি না। গত বছর দৈনিক ৮-১০ হাজার টাকা বেচাকেনা হয়েছে। এবার সেখানে তার অর্ধেকও হচ্ছে না। এমন অবস্থা চলতে থাকলে মহাজনের টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হবে না।

রমজান আলি নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, গত বছর এক বেল কাপড় যেখানে ১০ হাজার টাকায় কিনেছি একই মানের তেমন এক বেল কাপড় এবার ১২ হাজার টাকায় কিনতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে বেশি দামে বিক্রি না হলে আমাদের ব্যবসা করা সম্ভব না।
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্যে প্রসিদ্ধ ফুটপাত কিংবা পুরাতন কাপড়ের এসব দোকানগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও ভিড় বেড়েছে শহরের বড় বড় মার্কেটগুলোতে। তবে সেখানেও পোশাকের দাম গতবারের তুলনায় বেশি।
জেএস/এমএস