ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ঘন কুয়াশা

নীলসাগর ও সীমান্ত এক্সপ্রেসের শিডিউল বিপর্যয়, দুর্ভোগ

জেলা প্রতিনিধি | নীলফামারী | প্রকাশিত: ১০:৫৪ পিএম, ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

ঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারী থেকে ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ও খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চিলাহাটি, ডোমার, নীলফামারী ও সৈয়দপুর স্টেশনের প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী।

সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার (৪ জানুয়ারি) খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাত ৭টা ২০মিনিটে ছেড়ে চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে যাওয়া কথা ছিল। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে ট্রেনটি এক ঘণ্টা দেরিতে ৮টা ২০মিনিটে ছেড়ে যায়।

অন্যদিকে, রাত ৮টা ৩০মিনিটে চিলাহাটি থেকে ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি নীলফামারী রেলস্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ৯টা ২০মিনিট পর্যন্ত ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছায়নি। ঢাকা থেকে টঙ্গি পর্যন্ত রেলপথের সংস্কার কাজ ও ঘন কুয়াশার কারণে ধীরগতিতে চলাচল করায় ট্রেনটির শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে বলে স্টেশন সূত্রে জানা যায়।

ট্রেন দুইটি দেরিতে আসায় ভোগান্তিতে পড়েন  নীলফামারীর শতাধিক যাত্রী। এছাড়া চিলাহাটি, ডোমার ও সৈয়দপুরসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। 

নির্মল চন্দ্র নামে সীমান্ত এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বলেন, সন্ধ্যা ৭টার আগেই এখানে এসেছি। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করছি। জানি না যেতে কত সময় লাগবে। ঠান্ডা ও বাতাসে খুব খারাপ অবস্থা হয়ে গেছে। তবে কিছু করার নেই, মেনে নিতে হবে।

পরিবারের আট সদস্য নিয়ে ঢাকায় যাবেন জলঢাকা উপজেলার রেজাউল করিম। তবে সাড়ে ৭টায় রেলস্টেশনে এসে জানতে পারেন ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের কথা।

রেজাউল ইসলাম বলেন, মা-বাবা, বোন, স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় যাবো। প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় অপেক্ষা করছি। ঠান্ডায় মা ও বাচ্চাদের সমস্যা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেও স্টেশন মাস্টার রতন ইসলামকে তার কক্ষে পাওয়া যায়নি। প্ল্যাটফর্ম ঘুরেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি সীমান্ত এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার সময়ও তিনি কক্ষে ছিলেন না।

স্টেশন পয়েন্টসম্যান আলম হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশা ও ঢাকা-টঙ্গী রেলপথের সংস্কার কাজের জন্য ট্রেন দেরিতে আসায় শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এছাড়া চিলাহাটিতে চেকআপ, ধুয়া-মোছায় কিছুটা দেরি হয়েছে।

আরএডি