ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কনকনে শীতে কাহিল ছিন্নমূল মানুষ

জেলা প্রতিনিধি | সাতক্ষীরা | প্রকাশিত: ০৪:৫০ পিএম, ০৭ জানুয়ারি ২০২৩

পৌষের হাড় কাঁপানো শীতে সারা দেশের মতো কাঁপছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা সাতক্ষীরা। কনকনে শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে সব শ্রেণির মানুষ। মৃদু শৈত্যপ্রবাহে শীতের তীব্রতা আরো বেড়েছে। শনিবার (৬ জানুয়ারি) সাতক্ষীরার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত কয়েক দিন থেকে সূর্যের দেখা ঠিক মতো পাওয়া যাচ্ছে না। দিনের অধিকাংশ সময় ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের তীব্রতায় অসহায় ছিন্নমূল মানুষের জীবনে নেমে আসে চরম ভোগান্তি।

কৃষি কাজ থেকে শুরু করে অফিস পাড়া এমনকি ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে। তীব্র শীতে দরিদ্র ও হতদরিদ্র মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা রয়েছে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে।

হাসপাতাগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে বেড না পেয়ে বারান্দায় ও মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। তীব্র শীতে নষ্ট হচ্ছে বোরোর বীজতলা ও আমের মুকুল। ফলে এবারের বোরো ও আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

হটাৎ জেঁকে বসা এই শীত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা শহরের বড় বাজার, নিউ মার্কেট মোড়ের দোকানগুলোতে গরম পোশাকের কদর বেড়েছে। কিন্তু এসব শীতের পোশাকের মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুনের বেশি। এমনিতেই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। তারমধ্যে গরম পোশাকের এই দাম যেন মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ। ফলে সকাল ও রাতে অনেক স্থানে মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাতে দেখা গেছে।

সাতক্ষীরা জেলায় প্রায় ২২ লাখ মানুষের বসবাস, যাদের অধিকাংশ দরিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে। শীত এবং শৈত্যপ্রবাহে গ্রামের দুস্থ মানুষরা যেমন কষ্ট পাচ্ছেন একই অবস্থা শহরের তিনটি বস্তিতে বসবাসকারী ও ছিন্নমূল মানুষদের।

তবে অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের শীত নিবারণের জন্য এখনো সরকারি বা বেসরকারি সাহায্য-সহযোগিতা তেমন চোখে পড়ছে না। কিছু স্থানে যা দেওয়া হয়েছে তা চাহিদার তুলনায় খুবই নগন্য।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলি রিপন জাগো নিউজকে বলেন, শীতের তীব্রতা সহসা কমছে না, শৈত্য প্রবাহ এখনও ২-৩দিন থাকবে।

আহসানুর রহমান রাজীব/এফএ/এএসএম