ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রাজাকারের সন্তানকে নৌকা প্রতীক দেয়ায় বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশিত: ০৫:২৬ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাজাকারের সন্তানকে প্রাথমিকভাবে নৌকার প্রতীক দেয়ার প্রতিবাদে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার বিকেলে লালমনিরহাট বুড়িমারী আঞ্চলিক মহাসড়কের হাতীবান্ধা মেডিকেল মোড়ে ঘণ্টাব্যাপি মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

মানববন্ধনে অংশ নেয়া নেতাকর্মীরা জানান, হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিয়ার রহমান আতি দীর্ঘ ১৯ বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছেন। তাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ আতিকে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদে নৌকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের একটি মহল টাকার বিনিময়ে রাজাকার আবুল হোসেনের ছেলে নব্য আওয়ামী লীগ কর্মী সেলিম হোসেনকে প্রাথমিকভাবে নৌকার প্রতীক নির্বাচন করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রেরণ করেন।

"
যার প্রতিবাদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মী মানববন্ধনে অংশ নিয়ে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়ে রাজাকার সন্তানকে পরিবর্তন করে ত্যাগী নেতাদের নৌকা প্রতীক দেয়ার দাবি জানান।

টংভাঙ্গা ইউনিয়নের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ইউসুব আলীর ছেলে রোস্তম আলী মানবন্ধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, টাকার বিনিময়ে যাকে নৌকার মাঝি করা হচ্ছে সেই সেলিমের বাবাই মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বাবাকে (মুক্তিযোদ্ধা ইউসুব আলী) নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তাই রাজাকার সন্তানকে নৌকা না দিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানান।

টংভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তৃণমূল আওয়ামী লীগের পছন্দের নৌকার মাঝি আতিয়ার রহমান আতি মানববন্ধনে অভিযোগ করে বলেন, রাজাকার সন্তানের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাকে মনোনায়নের চেষ্টা করছে হাতীবান্ধা উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সরওয়ার হায়াত খান। এ দুই নেতা ৩০ লাখ টাকা নিয়ে নির্বাচন থেকে সড়ে আসার জন্যও তাকে চাপ প্রয়োগ করছে বলে তিনি মানববন্ধনে অভিযোগ করেন।

"
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাসান মোহেদী অপন, সদস্য আব্দুল মজিদ, টংভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিয়ার রহমান আতি, নওদাবাস ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক, টংভাঙ্গা ইউনিয়ন  স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ প্রমুখ।

তবে মানববন্ধন অযৌক্তিক উল্লেখ করে অভিযুক্ত জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সরওয়ার হায়াত খান বলেন, টাকার বিনিময়ে নয় রাজনৈতিক ম্যাকানিজমে কতিপয় নেতাকর্মী বলির পাঠা হতে পারে। এতে আওয়ামী লীগের কোনো ক্ষতি হবে না।

রবিউল হাসান/এমএএস/বিএ