দিনাজপুরে ঘন কুয়াশায় ক্ষতিগ্রস্ত বোরো ধানের বীজতলা
দিনাজপুরে ঘন কুয়াশায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বোরোর বীজতলা। বিবর্ণ হয়ে হলুদ রং ধারণ করছে চারা। কোথাও কোথাও মরে যাচ্ছে বোরোর চারা।
সরেজমিনে দিনাজপুরের সদর উপজেলার বালুপাড়া, গোয়ালপাড়া, রাজাপুকুর ও কাউগাঁ এলাকা ঘুরে এ দৃশ্য দেখা যায়।
আরও পড়ুন: শৈত্যপ্রবাহে বোরো ধানের বীজতলার যত্ন নেবেন যেভাবে
স্থানীয়রা জানান, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় বীজতলায় চারা মরে যাচ্ছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। এতে করে জেলার হাজার হাজার কৃষক দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
কৃষি বিভাগ বলছে, বোরো মৌসুমে কৃষকেরা ধানের বীজতলা তৈরি করেছেন। কিন্তু চলতি মাসের প্রথম থেকে ঘন কুয়াশার কারণে বীজতলার চারা মরে যাচ্ছে। আবহাওয়া একটু ভালো হলে অনেক কৃষককে নতুন করে বীজতলা তৈরি করতে হবে।

জেলার সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। চারা প্রায় প্রস্তুত হওয়ায় পলিথিন সরিয়ে নেই। এতে গত কয়েকদিনের কুয়াশায় চারা বিবর্ণ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: কুয়াশা-শৈত্যপ্রবাহে নষ্ট হচ্ছে বোরোর বীজতলা
উপজেলার রাজাপুকুর এলাকার আমিনুল ইসলাম জানান, ঘন কুয়াশায় উচ্চ ফলনশীল ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে এবার সময়মতো চারা রোপণ করতে পারবেন না।
আনোয়ার হোসেন নামের এর কৃষক জানান, কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা বীজতলা নষ্ট হবে এমন আগাম বার্তা দিতে পারেন না। অথচ এলাকার যুবকেরা ইউটিউব ঘেঁটে বীজতলা রক্ষা করতে পলিথিন দিয়ে চারা ঢেকে রেখেছেন। তাদের অনেকের চারা ভালো আছে। বাকিদের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: বোরোর বীজতলায় শীতের হানা
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় এক লাখ ৭১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এবার ৯ হাজার ৪৩৭ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নূরুজ্জামান বলেন, অতিমাত্রার শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বীজতলার চারা বিবর্ণ হয়ে যাওয়ার খবর আমাদের কাছে আছে। তবে সেটা খুব বেশি নয়। কৃষকদের বীজতলা রক্ষায় রাতের বেলায় পানি জমিয়ে সকালে তা ছেড়ে দিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এমদাদুল হক মিলন/আরএইচ/এমএস