ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নতুন প্রকল্প আসছে বলে রাস্তার ইট তুলে নিলেন চেয়ারম্যান

জেলা প্রতিনিধি | মৌলভীবাজার | প্রকাশিত: ১০:০৪ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আখাইলকুড়া ইউনিয়নের মনু নদীর তীর রক্ষা বাঁধ সড়কের ইট তুলে নিয়েছেন চেয়ারম্যান। নতুন প্রকল্প আসার দোহাই দিয়ে এ ইট তুলে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ‍্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, চেয়ারম্যান ইট আত্মসাতের মতলবে নতুন প্রকল্প আসবে এই কথা বলে সড়কের ইট তুলে নিয়েছেন।

জানা যায়, গ্ৰামীণ মাটির সড়ক টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড প্রকল্পের আওতায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আখাইলকুড়া ইউনিয়নের নতুন ব্রিজের পূর্বপাড়ের ৫০০ মিটার সড়ক ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ইটসলিং করা হয়।

এলাকাবাসী জানান, আখাইলকুড়া ইউনিয়নের নতুন ব্রিজ থেকে আখাইলকুড়া গ্ৰাম পর্যন্ত সড়কে এখন ধুলা উড়ছে। সড়কের ইটগুলো তুলে নিয়ে আখাইলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে রাখা হয়েছে। ধুলাবালির কারণে ওই রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।

ওই এলাকার শামীম মিয়া বলেন, যেই রাস্তায় ছিল ইট বিছানো, আজ তা তুলে ফেলা হয়েছে। এখন এই রাস্তা দিয়ে ধুলাবালির কারণে চলাচল করা যাচ্ছে না।

নাম প্রকাশ না করে আরেক ব্যক্তি বলেন, কয়দিন আগেই আমাদের রাস্তায় ইট ছিল। কিন্তু এখন কোনো ইট নেই। চেয়ারম্যান তুলে নিয়েছেন। আমরা কষ্টে আছি।

স্থানীয় অটোরিকশাচালক বকুল কর বলেন, আগে রাস্তাটি ইটসলিং ছিল, এখন ধুলা উড়ছে। কী কারণে তারা ইট তুলে নিলেন, তা জানা নেই। এই রাস্তা দিয়ে এখন গাড়ি চালানো সম্ভব নয়।

আখাইলকুড়া গ্ৰামের বাসিন্দা শাকিল জাগো নিউজকে বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, নতুন প্রকল্প এসেছে, কাজ হবে। তাই ইট তোলা হচ্ছে।

আরেক বাসিন্দা মকদ্দুছ মিয়া বলেন, চেয়ারম্যান আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। মেম্বাররা তাকে ভুল পরামর্শ দিয়ে আমাদের ভোগান্তিতে ফেলেছেন। কী কারণে তারা এটা করলেন কিছুই বুঝে উঠছি না। এই সড়কের ইট তুলে নেওয়ায় সবাই ভোগান্তিতে পড়েছেন। ধুলাবালির কারণে এলাকার মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

এ বিষয়ে আখাইলকুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান চুন্নু বলেন, এখানে বাঁধ নির্মাণের কাজ হবে। তাই ইট যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য আমরা তুলে এনেছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের সেকশনাল অফিসার মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, মনু নদীর বাঁধটা হচ্ছে আমাদের। আর হেরিং কাজটা করেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। বিষয়টি নিয়ে আমি পিআইওর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

আব্দুল আজিজ/এমআরআর