হাতীবান্ধায় নরমাল ডেলিভারিতে পৌনে ৬ কেজি ওজনের শিশুর জন্ম
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় নরমাল ডেলিভারিতে ৫ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের এক মেয়ে নবজাতকের জন্ম হয়েছে। বর্তমানে মা ও নবজাতক দুজনই সুস্থ আছেন।
বুধবার (১ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে নরমাল ডেলিভারিতে শিশুটির জন্ম হয়। শিশুটির মা মারুফা বেগম (৩৮) উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রমনীগঞ্জ গ্রামের জাকির হোসেন লেবুর স্ত্রী।
শিশুটির ওজন প্রায় পৌনে ছয় কেজি, যা গড় ওজনের চেয়ে প্রায় দুই কেজি বেশি। শিশুটির উচ্চতাও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি।
চিকিৎসকরা বলছেন, এত বেশি ওজনের শিশু এর আগে কখনো সেখানে জন্ম নেয়নি। জন্মানোর পর নবজাতকের ওজন আসে ৫ কেজি ৭০০ গ্রাম।
প্রসূতি মারুফা বেগমের আগের তিন সন্তানও নরমাল ডেলিভারিতেই হয়েছে।
নবজাতকের বাবা জাকির হোসেন লেবু জাগো নিউজকে বলেন, এই মেয়ে আমার চতুর্থ সন্তান। গর্ভকালীন স্ত্রীকে বিভিন্ন জায়গায় দেখিয়েছি, চিকিৎসকরা বলেছেন শিশুর ওজন বেশি, আপনারা ঝুঁকি নেবেন না। তারপরও আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রেখে বড়খাতা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গতকাল রাতে আমার স্ত্রী মেয়ে সন্তান প্রসব করে।
বড়খাতা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সিএসবি শাহানা খাতুন জাগো নিউজকে বলেন, গতকাল রাতে আমাদের এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক মা ৫ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের একটি মেয়ে শিশুর জন্ম দেন। এই প্রথম এতো ওজন নিয়ে আমাদের এখানে কোনো শিশুর জন্ম হলো।
তিনি আরও বলেন, সাধারণত মেয়ে নবজাতকের ওজন হয় আড়াই থেকে সাড়ে তিন কেজি। শিশুর বাবা-মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে নবজাতকের ওজন এর চেয়ে বেশি হতে পারে।
এ বিষয়ে বড়খাতা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সহকারী ধীমান রায় জাগো নিউজকে বলেন, অস্বাভাবিক ওজন নিয়ে এই প্রথম নরমাল ডেলিভারিতে ওই শিশু জন্মগ্রহণ করেছে, এটি ব্যতিক্রম। ওজন বেশি, তাই নবজাতককে বিশেষজ্ঞ দেখানো খুবই প্রয়োজন।
হাতীবান্ধা উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, মা ও সন্তান সুস্থ আছে। এখন ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে নরমাল ডেলিভারি হয়। গত মাসে বড়খাতা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২৮টি শিশুর নরমাল ডেলিভারি হয়েছে।
রবিউল হাসান/এফএ/এএসএম