ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

অপহৃত মুদি দোকানির মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত: ১০:০৫ এএম, ০১ মার্চ ২০১৬

রাজশাহীর বাগমারার পরিত্যক্ত এক ইটভাটা থেকে মুদি দোকানি আনোয়ার হোসেনের (৬২) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি উপজেলার দ্বীপপুর গ্রামের বাসিন্দা।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, অপহরণের পর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ সাধারণ ডায়েরি নিয়ে তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ তাকে উদ্ধারে কোনো তৎপরতা দেখায়নি। অন্যদিকে, পুলিশের দাবি তারা উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়েছে।

বাগমারা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, দুপুরে উপজেলার শিকদারী এলাকার পরিত্যক্ত ইটভাটার আশপাশে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে কয়েকজন ব্যক্তি ইটভাটার হাউজে গিয়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইটভাটার হাউজ থেকে অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করে। ইটভাটার হাউজের পাশে একটি চশমা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পরে চারদিন আগে অপহরণ হওয়া দ্বীপপুর গ্রামের মুদি দোকান্দার আনোয়ার হোসেনের পরিবারকে খবর দেয় পুলিশ। আনোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি তাঁর পিতার বলে সনাক্ত করেন।

নিহতের ছেলে সাইফুল ইসলাম জানান, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বাবাকে অপহরণ করা হয়। নওগাঁর রাণীনগর এলাকার রওশন জামান ওরফে মোস্তফা জামান নামে এক ব্যক্তি কম দামে সিগারেট কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে। অপহরণের সময় তার কাছে প্রায় দেড় লাখ টাকা ছিল। ওই টাকার জন্যই তার পিতাকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, অপহরণের পর বাবার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় পর থানায় মামলা করতে যান। পুলিশ মামলা না নিয়ে সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করে তাদের ফেরত পাঠায়। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশের অবহেলার কারণে তার পিতাকে জীবিত উদ্ধার করা যায়নি। সর্বশেষ গত সোমবার রাতে থানায় আবারো মামলা করতে গেলে পুলিশ পাঁচ হাজার টাকা দাবি করে। পরে পুলিশ পাঁচ হাজার টাকা নিয়েও মামলা তালিকাভুক্ত না করে তাদের বকাবকি করে থানা থেকে ফেরত পাঠায়।

এ ব্যাপারে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ টাকা নেয়া ও তাদের অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, পুলিশ তাকে জীবিত উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি বলেও জানান তিনি।

শাহরিয়ার অনতু/এআরএ/এবিএস