ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ কমাতে আদালত চত্বরে ন্যায়কুঞ্জ

জেলা প্রতিনিধি | চুয়াডাঙ্গা | প্রকাশিত: ০৮:২৫ পিএম, ০৪ মার্চ ২০২৩

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য জনগণের সেবা করা। ন্যায়কুঞ্জের কনসেপ্টটা এসেছে যাতে গ্রামগঞ্জের মানুষ সহজেই সেবা পান। বিচারপ্রার্থীরা যাতে আদালতে এসে কোনো দুর্ভোগ না পোহান। বিশেষ করে নারীরা তাদের সন্তান নিয়ে এই ন্যায়কুঞ্জে বসে যেন একটু বিশ্রাম নিতে পারেন। এই আদালত, এই অফিস সবকিছুই জনগণের স্বার্থে।

শনিবার (৪ মার্চ) সকালে চুয়াডাঙ্গা আদালত প্রাঙ্গণে নির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।

পরে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কে.এম. হাফিজুল আলম, চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ জিয়া হায়দারসহ চুয়াডাঙ্গার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি আদালত চত্বরে গাছের চারাও রোপণ করেন।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করি, আদালত চত্বরে এরকম কোনো বিশ্রামাগার করা যায় কিনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টে বিজয় একাত্তর উদ্বোধন ও আমার শপথের দিন ওয়াদা করেন এটা করে দেবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে বিচার পেতে আসাদের দুর্ভোগ কমাতে এই বিশ্রামাগারের জন্য বাজেট দেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, গত সুপ্রিম কোর্ট দিবসে আমরা বলেছি, এতদিনে যে মামলা জট হয়েছে সেই জট কমাতে আরও প্রায় ৫ হাজার জুডিসিয়াল অফিসার লাগবে। প্রতি বছর ১০০’র মতো এমনকি এরও বেশি জুডিসিয়াল অফিসার এপোয়েন্ট দেওয়া হচ্ছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অন্য বছরের তুলনায় মামলা ডিসপোজাল রেট সারাদেশেই বেড়েছে। কারণ আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরই সবাইকে দ্রুত মামলার জট কমাতে বলি। আমি মামলার জট কমাতে কাজ করে যাচ্ছি।

এফএ/এমএস