এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদের জামাতের জন্য প্রস্তুত গোর-এ শহীদ ময়দান
পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাতের জন্য এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মাঠ দিনাজপুর গোর-এ শহীদ ময়দানকে প্রস্তুত করা হয়েছে। ময়দানে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারব্নে ছয় লাখ মুসল্লি। এরই মধ্যে চূড়ান্ত প্রস্তুতি কাজ পরিদর্শন করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।
রমজানের প্রথম সপ্তাহে সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি মুসল্লিদের সুষ্ঠুভাবে নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে নতুন করে মাটি ভরাট, রং করা, ধোয়ামোছা, মাঠে পানি ছিটানোসহ নানা সংস্কার কাজ শুরু হয়। শেষ সময়ে এসে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। মাঠের সৌন্দর্যবর্ধনে ভেঙে ফেলা হয়েছে স্টেশন ক্লাব ভবন।

দিনাজপুর শহরে অবস্থিত সাড়ে ২২ একর আয়তনের গোর-এ শহীদ ময়দানের ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মিনারের সামনে হবে ঈদের জামাত। বৃহৎ এ মাঠে একত্রিত হবেন মুসল্লিরা। তাদের বিশ্বাস, বড় জামাতে নামাজ আদায় করলে বেশি আনন্দ ও সওয়াব হয়।
সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত ঈদের জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা শামসুল হক কাসেমী। পুরো ময়দানে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবেন।
সকাল ৭টা থেকে মুসল্লিরা নির্দিষ্ট প্রবেশ পথ দিয়ে মাঠে ঢুকবেন। মাইক বসানো হবে ১১০টি। অজু করতে যেন অসুবিধা না হয় সেজন্য ২৫০টি অজুখানা এবং পানি ও খাবার ব্যবস্থা রাখা হবে।

পুলিশ সুপার ইফতেখার আহমেদ জানান, মাঠে প্রবেশের জন্য মোট ১৯টি গেট তৈরি করা হয়েছে। সেগুলোতে মেটাল ডিটেক্টর বসানো থাকবে। শুধু জায়নামাজ ও ছাতা নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন মুসল্লিরা। থাকবে ওয়াচ টাওয়ার। ৪৩টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। শহরের ৩১টি পয়েন্টে অবস্থান করবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
তিনি আরও বলেন, রাতে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মাঠ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। আকাশে ড্রোন উড়বে। মাঠে পুলিশ ক্যাম্প থাকবে। প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান, মোবাইল, বৃদ্ধ ও শিশুরা হারিয়ে গেলে খুঁজে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
বিকেলে ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন করেন হুইপ ইকবালুর রহিম। তিনি বলেন, ৫২ গম্বুজবিশিষ্ট নান্দনিক গোর-এ শহীদ ময়দান মাঠে এশিয়ার সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ছয় লাখেরও বেশি মুসল্লি যাতে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এমদাদুল হক মিলন/এসআর/এমএস