দৌলতদিয়া ঘাটে কিছুটা বেড়েছে গাড়ি, অপেক্ষা ছাড়াই পদ্মা পাড়ি
অপেক্ষা ছাড়াই ফেরিতে উঠেছে গাড়ি
ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ নেই বললেই চলে। সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকালে যাত্রী ও যানবাহনের সংখ্যা কম থাকলেও রাত থেকে কিছুটা বেড়েছে। তবে অপেক্ষা ছাড়াই পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছে। লঞ্চ ঘাটেও নেই যাত্রীর ভিড়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া দেশের ২১ জেলার গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট। আগে প্রতিদিন এ ঘাট ব্যবহার করে হাজারো যানবাহন নদী পারাপার হয়েছে। তবে পদ্মা সেতু চালুর পর এরুটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কমেছে প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ। ফলে এবার ঈদের আগে ও পরে ভোগান্তি ও দীর্ঘ অপেক্ষা ছাড়াই পদ্মা নদী পারাপার হচ্ছেন যাত্রী ও যানবাহন। এবার ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে এ নৌপথে ছোট বড় ২০টি ফেরি ও ২২টি লঞ্চ চলাচল করছে।

এদিকে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের পর দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবহার করে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ফিরছে মানুষ। তবে ভোগান্তি ছাড়াই ফেরিতে উঠছেন যাত্রী ও যানবাহন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, স্বাভাবিক সময়ের মতোই যানবাহন পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে কোনো ভোগান্তি বা সিরিয়াল নাই। ঢাকামুখী যানবাহন সরাসরি এসে ফেরিতে উঠছে। বর্তমানে এরুটে ছোট বড় ২০টি ফেরি চলাচল করছে।

তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবহার করে পদ্মা পাড়ি দিয়েছে ২ হাজার ৬০৫ টি যানবাহন। এরমধ্যে মোটরসাইকেল ১ হাজার ৩৬, যাত্রীবাহী বাস ৩৯৩, ট্রাক ২২২ ও ছোট গাড়ি ৯৫৪টি।
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট সুপারভাইজার মোফাজ্জেল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের পর যাত্রীদের যে চাপ হওয়ার কথা, তার কিছুই নাই। ঘাটে সারিবদ্ধভাবে লঞ্চ বাঁধা আছে। পদ্মা সেতু চালুর পর থেকেই এরুটে যাত্রী কমে গেছে। ফলে অল্প যাত্রী নিয়েই লঞ্চ ছাড়তে হচ্ছে।
রুবেলুর রহমান/এসজে/জিকেএস