ছাত্রলীগ নেতা সবুজ হত্যা: আরেক আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
গ্রেফতার আজিজুল ইসলাম
রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সুমন সবুজকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আরেক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় গ্রেফতার আজিজুল ইসলাম ওরফে যুবরাজ (২১) ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজবাড়ীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুমন হোসেন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আজিজুল ইসলাম ওরফে যুবরাজ রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের হাউলী জয়পুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে।
পুলিশ পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম জানান, আজিজুল ইসলামকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। দুপুর দেড়টার দিকে তাকে রাজবাড়ীর এক নম্বর আমলি আদালতের বিচারক সুমন হোসেনের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে আদালত থেকে বের করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ছাত্রলীগ নেতা শেখ সুমন সবুজ একই ইউনিয়নের উড়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা শামসুল আলম শেখের ছেলে। সবুজ বরাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নিজ বাড়ির অদূরে পদ্মা নদীর পাড়ে উড়াকান্দায় বালুর চাতালের ব্যবসা ও গল্পগৃহ রিসোর্টে বিভিন্ন রাইডের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি।
গত রোববার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সবুজ মারা যান। এর আগে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাড়ির বসতঘরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন সবুজ। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে সজীব শেখ নামের আরও একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় মঙ্গলার নিহত ছাত্রলীগ নেতা সবুজের বাবা শামসুল আলম শেখ বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা করেন।
এ মামলায় গ্রেফতার আরেক আসামি গোলাম মোস্তফা বুধবার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চৌধুরী মো. মাহবুবুর রহমানের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গোলাম মোস্তফা বরাট ইউনিয়নের গোপালবাড়ি গ্রামের মো. দিরাজ আলী শেখের ছেলে।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন বলেন, শেখ সুমন সবুজ হত্যা মামলায় পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। এ হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
রুবেলুর রহমান/কেএসআর