ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নোয়াখালী-৪ আসনে আ’লীগের মনোনয়ন চান মালেক উকিলের ভাতিজা

জেলা প্রতিনিধি | নোয়াখালী | প্রকাশিত: ০৭:১৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান প্রয়াত সাবেক স্পিকার আবদুল মালেক উকিলের ভাতিজা অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন। এ আসনে বিগত তিনবারের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে নোয়াখালীর এক রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে এমন ঘোষণা দিয়েছেন অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং সদর উপজেলা পরিষদের দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।

অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, নোয়াখালী সদর আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর বাড়ি নোয়াখালী-৫ আসনের কবিরহাট উপজেলায়। তিনি এখানে উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। প্রয়োজনের সময় দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে কাছে পান না। এছাড়া গত ১৪ বছরে সদর ও সুবর্ণচর এলাকায় বেপরোয়া চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজিসহ চাকরিবাণিজ্য করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মায়ের সমতুল্য নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব বিষয়ে সব জানেন। যার কারণে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণ দিয়েছেন। আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশনা মতো জেলা আওয়ামী লীগকে গতিশীল করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছি।

শিহাব উদ্দিন বলেন, আমি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দলের কাছে এ আসনে নৌকার মনোনয়ন চাইবো। স্বাধীনতার আগ থেকে মালেক উকিলের পরিবার নোয়াখালীর জনগণ তথা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে আসছে। তবে এখানে নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত, তিনি যদি আমাকে যোগ্য মনে না করেন আমি তা মাথা পেতে নিতে প্রস্তুত আছি। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা আমার পক্ষে রয়েছেন।

এদিকে অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীনের এ ঘোষণার ব্যাপারে জানতে চাইলে নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী প্রথমে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। পরে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, এত নিম্নপর্যায়ের লোকের বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। যে উপজেলা পরিষদে মনোনয়ন পায় না সে কিভাবে সংসদ সদস্যের মনোনয়ন পাবে। তবে গত ১৪ বছরে আমি কী কাজ করেছি তা জনগণই বলবে। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তা দলীয় হাইকমান্ড দেখবে।

মতবিনিময় সভায় জেলায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যম কর্মীরা ছাড়াও সদর এবং সুবর্ণচর উপজেলার বেশ কিছু জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস জাহের, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান নাছের, সাবেক সহ-সভাপতি জাকিউল ইসলাম দুলাল, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন বাহার চৌধুরী, বিনোদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বাবলু, কাদির হানিফ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রহিম চৌধুরী, অশ্বদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাবলু, দাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিপন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইবনে ওয়াজিদ ইমন অন্যতম।

ইকবাল হোসেন মজনু/এফএ/জিকেএস