ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটায় ঈশ্বরদীর বন কর্মকর্তাকে শোকজ

উপজেলা প্রতিনিধি | ঈশ্বরদী (পাবনা) | প্রকাশিত: ০৪:৩৯ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

প্রশাসনকে না জানিয়ে ঝড়ে ভেঙে পড়ার নামে ৫৮টি বড় ও মাঝারি আকারের বাবলা গাছ কাটার অভিযোগে ঈশ্বরদী উপজেলা বন কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেনকে শোকজ (কারণ দর্শানো নোটিশ) করা হয়েছে। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টি এম রাহসিন কবির রোববার সকালে বন কর্মকর্তাকে শোকজ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত ২৪ এপ্রিল ঝড়ে বাবলা গাছ হেলে ও ভেঙে পড়ে। উপজেলা প্রশাসনকে না জানিয়ে এবং কমিটির সিদ্ধান্ত না নিয়ে বন কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন একক সিদ্ধান্তে লোকজন লাগিয়ে ৫৮টি গাছ কেটে ফেলেন। এরমধ্যে সাতটি গাছের টুকরা বাদশার মোড়ে স্তূপ করে রেখে বাকিগুলো আত্মসাৎ করেছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। কেটে ফেলা গাছগুলোর গোড়া মাটি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়।

অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টি এম রাহসিন কবির বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন কেটে ফেলা বাবলা গাছগুলো দেখতে গেলে বন কর্মকর্তা সুকৌশলে অন্য এলাকার সাতটি কাটা গাছ দেখিয়ে তাকে ফিরিয়ে আনেন। পরে স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় বন কর্মকর্তাকে শোকজ করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আফজাল হোসেন বলেন, প্রায় ২০-২৫ বছর আগে রাস্তার দুইপাশে একটি সমিতির নামে গাছগুলো রোপণ করা হয়েছিল। সমিতির সদস্যদের পরিচর্যায় গাছগুলো বড় হয়। গাছগুলো ব্যবহার উপযোগী হয়েছে। অথচ আমাদের বাদ দিয়ে গাছগুলো কেটে সাবাড় করা হয়েছে।

jagonews24

আরেক বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে উপড়ে পড়ার অজুহাতে গাছগুলো কাটা হয়েছে। সারা বছর তো আর ঝড় থাকে না। এরপরও গাছ কাটা হয়। স্থানীয় কিছু ব্যক্তি নিজেদের দলীয় নেতা পরিচয় দিয়ে কেটে নিয়ে যান।

মুলাডুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক মালিথা জানান, রাস্তার দুইপাশে বন বিভাগের থাকা গাছ কাটার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

এ বিষয়ে বন কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন, শোকজের কথা শুনেছি, চিঠি এখনো হাতে পাইনি। অফিসে গেলে জানতে পারবো। গাছ কাটার বিষয়ে কোনো আপস নেই। ঝড়ে হেলে পড়া ও ভেঙে যাওয়া কিছু গাছ কেটে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়।

অতিরিক্ত দায়িত্বরত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টি এম রাহসিন কবির বলেন, বন কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন কমিটির সিদ্ধান্ত না নিয়ে এবং উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে গাছ কেটেছেন। গাছগুলো একক সিদ্ধান্তে কেটেছেন, যা তিনি কখনোই করতে পারেন না। শোকজ করে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কপি পাঠানো হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে বন কর্মকর্তার কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বন বিভাগ থেকেও আলাদাভাবে তদন্ত হবে।

শেখ মহসীন/এমআরআর/জিকেএস