ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বগুড়ায় মোটরসাইকেল চোর চক্রের চারজন গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক | বগুড়া | প্রকাশিত: ০৮:১১ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

বগুড়া থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে গাইবান্ধায় বিক্রি করা একটি চোর চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। সেই চোর চক্রের প্রধান চাকুরিচ্যুত সেনা সদস্যসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারগারে পাঠানো হয়। এরআগে রোববার ভোরে বগুড়া সদর ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাদরে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাঙ্গাবাড়ি গ্রামের শাহীন মন্ডলের ছেলে চাকুরিচ্যুত সেনাসদস্য শাকিল মিয়া (২৩), গোলাম রব্বানীর ছেলে বাঁধন মিয়া (২২), সোনাতলা উপজেলার গনিয়ারকান্দি গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে সফিক হাসান (২১) ও গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের গজিয়াপাড়ার মাহাবুলের ছেলে মেহেদি হাসান (২৫)।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বিষয়গুলো নিশ্চিত করে জানান, বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চক্রটি মোটরসাইকেল চুরি করে। শাকিল, সফিক ও বাঁধন মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। একটি মোটরসাইকেল চুরি করতে তারা তিনজন মাঠে থাকেন। একজনের কাজ হচ্ছে মোটরসাইকেল মালিকের গতিবিধি লক্ষ্য করা, অন্যজন মোটরসাইকেলটি কিছু সময় পর্যবেক্ষণ করেন। এই সুযোগে আরেকজন মাত্র ১ মিনিটের মধ্যে মাস্টার চাবি দিয়ে লক ভেঙে মোটরসাইকেল চালু করেন। মোটরসাইকেল নিয়ে তারা সরাসরি গাইবান্ধা জেলার মেহেদি হাসানের কাছে বিক্রি করে দেন। গোপন তথ্যে ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে মোটরসাইকেল চোর চক্রটিকে শনাক্ত করা হয়।

ওসি আরও বলেন, সম্প্রতি সদর উপজেলার গোপালবাড়ী গ্রাম থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। তার সূত্র ধরে তদন্ত করতে গিয়ে এ চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ। গ্রেফতার শাকিল মিয়া মোটরসাইকেল চোর চক্রের প্রধান। তিনি এক সময় সেনাসদস্য ছিলেন। নানা অপকর্মের দায়ে তাকে বাহিনী থেকে চাকুরিচ্যুত করা হয়।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রথমে রোববার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার গোকুল এলাকা থেকে শাকিল, সফিক ও বাঁধনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বাজাজ কোম্পানির পালসার একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে গোবিন্দগঞ্জ থেকে মেহেদিকে আরও একটি চোরাই মোটরসাকেলসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দায়েরের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়।

এফএ/জিকেএস