বিদ্যুতের লাইন টানা নিয়ে দ্বন্দ্বে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা
মুন্সিগঞ্জ সদরে বজ্রযোগিনী এলাকায় বৈদ্যুতিক তার টানাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে মো. ফজলুর রহমান বেপারী (৭০) নামের এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় ছুরিকাহত হয়েছেন নিহতের মেয়ে জামাই শ্যামল শেখ (৩৮)।
মঙ্গলবার (২ মে) বিকেল ৩টার দিকে সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের কল্যানশিং গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফজলুর রহমান ওই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল বেপারীর ছেলে। ছুরিকাহত জামাই শ্যামলকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ও নিহতের স্বজনরা জানান, সম্প্রতি কল্যানশিং গ্রামের রাসেল বেপারীর বাড়ির বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আজ দুপুরে জোরপূর্বক ফজলুর রহমানের বাড়ির ওপর দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইনের তার টানতে যান রাসেল ও তার লোকজন। এ সময় ফজলুর রহমান বিদ্যুতের লাইন টানতে বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে রাসেল ও তার ভাগনে লিমন মিলে ফজলুর রহমানকে এলোপাথাড়ি মারধর করেন। এ সময় তাকে বাঁচাতে মেয়ে জামাই শ্যামল শেখ ছুটে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করেন তারা। একপর্যায়ে ফজলুর রহমান মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় স্থানীয়রা ফজলুর রহমান ও শ্যামল শেখকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজলুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী শাহিদা বেগম বলেন, আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করছে। আমি এর বিচার চাই। বিদ্যুতের লাইনের লিগা আমার বাড়িতে আইসা পিটাইয়া মারছে। রাসেল ও লিমন পিটাইছে।
আহত শ্যামল শেখ বলেন, শ্বশুরকে মারছে দেখে আমি যাই। আমাকে সুইচগিয়ার গিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শৈবাল বসাক বলেন, মৃত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে বিকেল ৩টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার জামাই ও মেয়ে। তার শরীরে কোনো ক্ষতচিহ্ন নেয়৷ মাথায় আঘাতের কারণে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুজ্জামান জানান, একজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। অপরজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। ময়নাতদন্ত সাপেক্ষে নিহতের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এরইমধ্যে আইনি তৎপরতা শুরু হয়েছে।
আরাফাত রায়হান সাকিব/এফএ/এমএস