আমদানি বন্ধের পরও হিলি দিয়ে এসেছে ২৫ টন পেঁয়াজ

আমদানি বন্ধ থাকার পরও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ২৫ টন ভারতীয় পেঁয়াজ এসেছে। মঙ্গলবার (৯ মে) সন্ধ্যায় পেঁয়াজ ভর্তি একটি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে। তবে পণ্য খালাসে বাঁধ সাধে হিলি উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হিলির যমুনা ট্রেডিং করপোরেশনের মাধ্যমে মিডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ২৫ টন পেঁয়াজ নিয়ে আসে। এদিকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পরও কিভাবে স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হল বিষয়টি উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করছেন।

হিলি স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট‘ যমুনা ট্রেডিং করপোরেশনের’ প্রতিনিধি রোস্তম আলী জাগো নিউজকে বলেন, মিডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের খাদ্যজাত পণ্য রপ্তানিকারক একটি প্রতিষ্ঠান হিলি বন্দর দিয়ে আমাদের মাধ্যম হয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছে। আমাদের জানামতে এ পেঁয়াজগুলো খোলা বাজারে বিক্রয়ের সুযোগ নেই। খাদ্য তৈরির উপকরণ হিসেবে পেঁয়াজগুলো আমদানি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে আমদানি বন্ধ

পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে জানতে চাইলে হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের সহকারী সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, স্থলবন্দর দিয়ে ১৫ মার্চ থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার মিডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের খাদ্যজাত পণ্য রপ্তানিকারক একটি প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ২৫ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে। তাদের দাবি পেঁয়াজগুলো প্রক্রিয়াজাত করে কাঁচামাল হিসেবে তারা এগুলো ব্যবহার করবে। আমরা তাদের কাছে এসংক্রান্ত কাগজ পত্র দেখতে চেয়েছি। তারা বৈধ কাগজ দেখাতে পারলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে হিলি স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার বায়েজিদ হোসেন বলেন, এমনিতে ভারত থেকে গত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে পেঁয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি শিল্পভোক্তা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য পেঁয়াজ আমদানি করতে পারে তবে এগুলো খুচরা বাজারে বিক্রয় করতে পারবে না।

তিনি আরও জানান, মিডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের খাদ্যজাত পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ২৫ টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করেছে। আমরা কিছু কাগজপত্র যাচাই করেছি। পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) অনুমতি নিয়েই ব্যাংক থেকে এলসি খুলেছে।

মো. মাহাবুর রহমান/আরএইচ/এমএস