ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নাটোরে গুলিতে আহত শ্রমিক নেতার মৃত্যু

প্রকাশিত: ১১:৫৭ এএম, ০৯ মার্চ ২০১৬

নাটোরে প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত শ্রমিক নেতা রানার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত রানা নাটোর সদর উপজেলার একডালা এলাকার রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ  ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেল পাঁচটার দিকে তেবাড়িয়া এলাকায় যমুনা ডিস্টিলারিজের সামনের একটি চায়ের দোকানে যুবলীগের আফজাল হোসেন ওরফে মুরগি আফজাল এবং নাটোর জেলা ট্যাঙ্ক-লরি শ্রমিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক রতন ওরফে রানাসহ সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা দোকান থেকে বের হয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু করে। এ সময় সাত থেকে দশ রাউন্ড গুলিও ছোড়া হয়।

এ সময় সংঘর্ষে শ্রমিক নেতা রানা ও যুবলীগ কর্মি রাসেল গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে নাটোর হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু রানার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নিহত রানার ভাই রনি জানান, তার ভাইকে গুলি করে আহত করার ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে নাটোর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু পুলিশ অভিযুক্তদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেননি। তিনি হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন।

এ বিষয়ে নাটোর জেলা ট্যাঙ্ক-লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোস্তারুল ইসলাম আলম বিষয়টিকে দুঃখ জনক অভিহিত করে অবিলম্বে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।

নাটোর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, রানার মৃত্যু সংবাদ তারা পেয়েছেন। ঢাকা মোহম্মদপুর থানায় আইনি কাজ ও ময়না তদন্ত শেষে রানার মরদেহ নাটোরে নিয়ে আসা হচ্ছে।

নাটোর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, রানাকে গুলি করে আহত করা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রুপান্তরিত হবে। অপরদিকে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করছে। কিন্তু অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা যায়নি।

এবিষয়ে পৌর যুবলীগের সভাপতি সাঈম হোসেন উজ্জল বলেন, গোলাগুলির ঘটনায় যুবলীগের কেউ জড়িত ছিল কি না সেটা তার জানা নেই।

রেজাউল করিম রেজা/এফএ/এমএস