নোয়াখালীর সেই চেয়ারম্যানকে জামিন দেননি হাইকোর্ট

চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে অফিস করা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের ৭ নম্বর মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীকে (৪২) জামিন দেননি হাইকোর্ট।

সোমবার (১৫ মে) দুপুরে বিচারপতি মোহাম্মদ সেলিম ও মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে খারিজ করে দেওয়া হয়।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীসহ ৯ জনের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।

এর আগে গত ৮ মে জাগো নিউজে ‘পরোয়ানার পরও অফিস করছেন চেয়ারম্যান, পুলিশের দাবি পলাতক’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এতে জানা গেছে, চাঁদাবাজি, হেনস্তা ও টাকা লুটের মামলায় মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেও আদালতে হাজির না হয়ে তিনমাস ধরে অফিস করছেন তিনি। এদিকে, প্রকাশ্যে সব কর্মকাণ্ড চালালেও পুলিশের দাবি তিনি পলাতক। চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী মুছাপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার মোতাহের হোসেনের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মুছাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আইয়ুব আলী। চাঁদা না পেয়ে তিনি বিদ্যালয়ের দোকানঘর থেকে জোর করে ভাড়া তোলার চেষ্টা করেন। বাধা দিলে ক্ষুব্ধ হয়ে চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী গত বছরের ২৬ আগস্ট রাত পৌনে ৯টায় বাংলাবাজারে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সহযোগীদের নিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি এনামুল হক ভুইয়ার (৬৮) ওপর হামলা করেন।

এসময় তাকে মারধর করে ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যান আসামিরা। পরে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে চেয়ারম্যানসহ তার আট সহযোগীর বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে গত ৯ ফেব্রুয়ারি মুছাপুরের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

ইকবাল হোসেন মজনু/এমআরআর/এমএস