বাসস্ট্যান্ডের পাবলিক টয়লেট থেকে শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার

কিশোরগঞ্জ শহরের আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ডের পাবলিক টয়লেটের দরজা কেটে মো. কামরুল ইসলাম (৩৪) নামে এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। বুধবার (২৪ মে) রাত পৌনে ১১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত কামরুল ইসলাম সদর উপজেলার বিন্নাটি ইউনিয়নের বুরিরচর এলাকার আব্দুল হাসিমের ছেলে।

জানা গেছে, দীর্ঘসময় ধরে দরজা না খোলায় বুধবার রাত ৯টার দিকে বাসস্ট্যান্ডের পরিবহন শ্রমিকরা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা টয়লেটের দরজা কেটে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে মরদেহের পকেটে থাকা মানিব্যাগ থেকে একটি এনআইডি কার্ডের ফটোকপি পাওয়া যায়। এনআইডি কার্ডের ফটোকপির সূত্রে তার পরিচয় পাওয়া যায়।

কিশোরগঞ্জ পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম বলেন, আমরা জানতে পারি কোনো এক ব্যক্তি বাসস্ট্যান্ডের পাবলিক টয়লেটের পড়ে আছেন। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিই। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা এসে টয়লেটের দরজা কেটে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তার পরিচয় পাওয়া যায়। সে আমাদের বাসস্ট্যান্ডেরই কোনো বাসের শ্রমিক।

কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবুজর গিফারী বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। পরে টয়লেটের দরজা কেটে তার মরদেহ উদ্ধার করি।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, মরদেহ টয়লেটের দরজা কেটে উদ্ধারের পর তার পকেটে থাকা মানিব্যাগে এনআইডি কার্ডের ফটোকপি পাওয়া যায়। সেখান থেকে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ওসি আরও বলেন, এনআইডি কার্ডে পাওয়া পরিচয় সূত্রে তার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে খবর দেওয়া হয়েছে। মরদেহ এখন কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে আছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

এসকে রাসেল/এমআরআর/এএসএম