ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মামলা করে বিপাকে ফটিকছড়ির এক মুক্তিযোদ্ধা

প্রকাশিত: ০৫:২৯ এএম, ১৩ মার্চ ২০১৬

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাটের মামলা করে বিপাকে পড়েছেন ফটিকছড়ির এক মুক্তিযোদ্ধা। মামলা তুলে না নেয়ায় সংঘবদ্ধ লুটেরাদের অব্যাহত হুমকির কারণে রীতিমত পালিয়ে বেড়াচ্ছে উক্ত মুক্তিযোদ্ধা।

মামলার আসামিরা যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে এমন আশংকায় দিনাতিপাত করছেন মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম সওদাগর ও তার পরিবারের সদস্যরা। জেলার ফটিকছড়ির নাজিরহাট এলাকায় এ ঘটনাটি চলছে গত প্রায় কয়েকমাস ধরে।

হুমকির কারণে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও যেতে পারছেননা তিনি। মামলার আসামিরা স্থানীয় সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু এবং প্রভাবশালী হওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন তিনি। মামলা করেও যেন পড়েছেন ঠেকায়। জামিনে এসে আসামিরা বলছেন হয়তো মামলা তুলে আপোষ কর নয়তো জীবনের তরে শেষ করে দেব।

এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে সহায়তা চেয়ে আবেদনও করেছেন তিনি। গ্রামের বাড়ী হাটহাজারী হলেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফটিকছড়ির নাজিরহাটে। মূলত নাজিরহাটে উক্ত মুক্তিযোদ্ধার জায়গা দখলে ব্যর্থ হয়েই তার ব্যবসা  প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও ভাংচুর চালায় তারা। আসামিরদের জায়গার পাশেই অতি মূল্যবান কিছু জমি রয়েছে এ মুক্তিযোদ্ধার। সংঘবদ্ধ এ ভূমিদস্যু চক্রের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে তার এ সম্পদের উপর।

এ ব্যাপারে ফটিকছড়ির সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খায়রুল বশর জানান, একটি সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট তার জায়গা জবর দখলে ব্যর্থ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসেনর সহায়তা কামনা করেন।

লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়,স্থানীয় ফজল আহম্মদ গংদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালামের সীমানা ঠেলাঠেলী নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। ২০০৩ সালে এ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান সালিশী বৈঠক করে মিমাংসাও করে দেন।  এসময় কেউ কারো জমি জবর দখল করা প্রচেষ্টা করবেনা মর্মে অঙ্গিকার নামাও দেন।

এরপরেও গত বছরের ২২ জুলাই আসামীরা নাজিরহাটস্থ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট করে। এ ঘটনার পর তাদের বিরুদ্ধে ফটিকছড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করার ফলে তারা আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।  সর্বশেষ গত মাসে দ্বিতীয় দফায় আবারো হামলা ও লুটপাট সহ তাদেরকে মারধর করে। এ ঘটনার পর ফটিকছড়ি থানায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি একটি  মামলা (নং- ০৬) দায়ের করি।  যা বর্তমানে কোর্টে বিচারাধীন অাছে।

মুক্তিযোদ্ধার কালাম জানান, আসামিরা বর্তমানে মামলা তুলে নিতে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এ ছাড়া মামলা প্রত্যাহার না করলে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সেখানে অবস্থিত আমার জমি দখল করে নেবে বলে হুমকি দিচ্ছে।

আবুল কালামের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর একজনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করি। বর্তমানে তারা জামিনে আছেন। মূলত মুক্তিযোদ্ধার জমি দখল করতেই এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। হুমকি ধামকি দিয়ে থাকলে সে ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।  

জীবন মুছা/জেএইচ/এমএস