ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শরীয়তপুরে আলুর ফলন কম হওয়ায় হতাশ কৃষক

প্রকাশিত: ০৭:৩১ এএম, ১৩ মার্চ ২০১৬

শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও গত বছরের তুলনায় আলুর ফলন কম হওয়ায় কৃষকের মুখে হতাশা নেমে এসেছে। এ বছর কোন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া না থাকলেও প্রতি শতাংশে ৩ মণের বেশি আলু উৎপাদন হয়নি। পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত পোকার আক্রমণে অনেক আলুর বীজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উৎপাদন কম হয়েছে। যার ফলে কৃষকদের মনে হতাশা নেমে এসেছে।

শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ বছর ২৯০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তার মধ্যে সদর উপজেলায় ২১০ হেক্টর, জাজিরা উপজেলায় ৯৫ হেক্টর, নড়িয়া উপজেলায় ১৪৮০ হেক্টর, ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ৫৭০ হেক্টর, ডামুড্যা উপজেলায় ৫০০ হেক্টর এবং গোসাইরহাট উপজেলায় ৪৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ করা হয়।

সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের সুবচনী গ্রামের আলু চাষী মো. খলিল সরদার বলেন, এ বছর আমি এক একর জমিতে আলুর চাষ করেছি। গত বছর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকা সত্ত্বেও আলুর ফলন ভালো হয়েছিল। কিন্তু এ বছর গত বছরের তুলনায় আলুর ফলন কম হয়েছে। এ বছর আমরা আলু নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছি। যদি বাজার মূল্য সঠিকভাবে না পাই তাহলে আমাদের পথে বসে যেতে হবে।

Alu

ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের সিতল কাঠি গ্রামের আলু চাষী লোকমান মাদবর বলেন, এ বছর আলুর ফলন মোটামুটি হয়েছে। এ বছর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া না থাকলেও পোকার আক্রমণে আলুর ফলন নষ্ট হয়ে গেছে।

একই ইউনিয়নের আলু চাষী জলিল মোল্যা বলেন, এক একর জমিতে আলুর চাষ করতে আমাদের অনেক খরচ হয় কিন্তু সেই অনুপাতে আমরা সরকারের কাছ থেকে কোন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি না।

আরেক আলু চাষী ছালাম মোল্যা বলেন, গত বছর আলুর চাষ ভালো হয়েছিল। আমরা কৃষকরা ভালো দাম পেয়েছিলাম। কিন্তু এ বছর আলুর ফলন ভালো হয়নি। পোঁকায় সব আলু নষ্ট করে দিয়েছে। কৃষি অফিসের কোন লোকজনের কাছ থেকে কোন সহযোগিতা পাইনি।।

নড়িয়া উপজেলার চরাত্রা গ্রামের আলু চাষী মোহাম্মদ সরদার বলেন, আমরা গরীব কৃষক। আলু চাষ করতে আমাদের অনেক খরচ হয়। কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংক থেকে কখনই কোন ঋণ পাইনি। তাই কষ্ট করেই আলু চাষ করছি। যাতে একটু ভালোভাবে থাকতে পারি। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এ বছর আলুর ফলন কম হয়েছে। এবার যদি বাজার মূল্য ঠিকমতো না পাই তাহলে সুদে আনা টাকাও পরিশোধ করতে পারবো না।

Alu

গোসাইরহাট উপজেলার আলু চাষী মো. খলিল বলেন, আমাদের দেশের উৎপাদিত আলু বহু দেশে রফতানিহয়। কিন্তু আমাদের দেশের কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী ভারত থেকে অল্প মূল্যে, নিম্নমানের আলু আমদানি করে আলুর বাজার নষ্ট করে দিচ্ছে।

এ ব্যাপারে শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. কবির হোসেন বলেন, এ বছর আলুর আবাদ ভাল হয়েছে। গত বছর দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কৃষকদের অনেক ক্ষতি হয়েছিল। এ বছর পরিবেশ অনুকূলে থাকায় আলুর চাষ ভালো হয়েছে। কিন্তু গত বছরের তুলনায় ফলন ভালো হয়নি। তবে আমাদের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।

এসএস/এমএস