ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

‘নড়াইলের টাইগার’র ওজন ৫৫ মণ, কিনলে পালসার মোটরসাইকেল ফ্রি

জেলা প্রতিনিধি | নড়াইল | প্রকাশিত: ০৮:০৪ পিএম, ১৩ জুন ২০২৩

সাদা-কালো রঙের শান্ত প্রকৃতির ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘নড়াইলের টাইগার’। ওজন আনুমানিক ৫৫ মণ। বিশালাকৃতির ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে ২০ লাখ টাকা। ষাঁড়টি যিনি কিনবেন তিনি উপহার হিসেবে পাবেন একটি পালসার মোটরসাইকেল।

ষাঁড়টির মালিক সেলিম মোল্যা (২৪)। তিনি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের রবিউল মোল্যার ছেলে। কোরবানিতে বিক্রির উদ্দেশ্যে ষাঁড়টি প্রস্তুত করেছেন তিনি।

সেলিম মোল্যা জাগো নিউজকে বলেন, ‘নড়াইলের টাইগার’ হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের। এর বয়স চার বছর। দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ১২ ফুট, উচ্চতা ৬ ফুট আর ওজন প্রায় ৫৫ মণ।

তিনি বলেন, ‘মোটাতাজাকরণের কোনো প্রকার ওষুধ প্রয়োগ ছাড়াই দেশীয় প্রাকৃতিক খাবার বিচালি, ঘাস, খৈল, ভুসি, খুদের ভাত, কুড়া ইত্যাদি খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে ষাঁড়টিকে। অতি আদর-যত্নে লালন পালন করেছি। তার প্রতি অনেক মায়াও তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় হাজার টাকা খাবারের পেছনে খরচ হয়। বাড়িতে রেখেই তাকে কোরবানির জন্য প্রস্তুুত করা হয়েছে।’

Cow-(3).jpg

সেলিম মোল্যার দাবি, এটি তার এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু। বিশাল দেহের অধিকারী হওয়ায় ষাঁড়টিকে দেখতে প্রতিদিন অনেকেই ভিড় করছেন।

নড়াইলের টাইগারের দাম হাঁকা হচ্ছে ২০ লাখ টাকা। ষাঁড়টি যিনি কিনবেন উপহার হিসেবে তাকে একটি পালসার মোটরসাইকেল দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মালিক সেলিম মোল্যা।

সেলিম মোল্যার মা সেলিনা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ‘গরুটি চার বছর ধরে আমরা লালন-পালন করছি। কোরবানির সময় প্রায় চলে
আসছে। ন্যায্য দাম পেলে আমরা গরুটি বিক্রি করে দেবো।’

ষাঁড়টি দেখতে আসা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মিশানুর গাজী বলেন, এত বড় ষাঁড় আগে দেখেনি। লোকমুখে শুনেছি তাই ষাঁড়টি দেখতে এলাম। অনেক ভালো লাগলো। তবে বুঝতে পেরেছি খামারি অনেক কষ্ট করে ষাঁড়টিকে এত বড় করেছেন।

Cow-(3).jpg

আরেক দর্শনার্থী নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাহিদ বলে, ‘নড়াইলের টাইগার’ দেখতে বিশাল আকারের হাতির মতো। আমার খুব ভালো লেগেছে দেখে।

লোহাগড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. লেলিন প্রধান জাগো নিউজকে বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে খামারিদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে। কোরবানির চাহিদার তুলনায় উপজেলায় বেশি পশু রয়েছে। আশা করছি এবার ঈদুল আজহায় খামারিরা গরুর ভালো দাম পাবেন।

নড়াইল প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু মজুত আছে ৫৪ হাজার ৪৯০টি। কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ৩২ হাজার ১৪৫টি। অর্থাৎ ২২ হাজার ৭৭৫টি গবাদিপশু উদ্বৃত রয়েছে।

হাফিজুল নিলুু/এসআর/এমএস