ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ‘রাজাবাবু’, দাম ১০ লাখ

জেলা প্রতিনিধি | কুষ্টিয়া | প্রকাশিত: ১০:৪৩ এএম, ১৮ জুন ২০২৩

জীবিকার তাগিদে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মো. জসিম মোল্লা। তার স্ত্রী হালিমা খাতুন একজন গৃহিনী। ছয় বছরের সংসার জীবনে এখনো তাদের কোলজুড়ে আসেনি কোনো সন্তান। আর তাইতো নিজের অবসর থাকা সময় দিয়েছেন ‘রাজাবাবু’কে। প্রায় চার বছর ধরে নিজের সন্তানের মতোই পরিচর্যা করেছেন তার।

বলছি জসিম-হালিমা দম্পতির ঘরে থাকা গরুটির কথা। তারা আদর করে গরুটির নাম দিয়েছেন ‘রাজাবাবু’। ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরুটির উচ্চতা প্রায় পাঁচ ফিট ১০ ইঞ্চি এবং লেজ থেকে মাথার দৈর্ঘ্য প্রায় আট ফিট। ওজন আনুমানিক ৯৫৭ কেজি অর্থাৎ ২৩ মণের বেশি। প্রবাসীর স্ত্রী গরুটির দাম চাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন: চাহিদার দ্বিগুণ কোরবানির পশু আছে সিংড়ায়

জানা গেছে, প্রায় ৬ বছর আগে উত্তর মূলগ্রামের মৃত সামছদ্দিন মোল্লার ছেলে জসিম মোল্লার সাথে একই এলাকার মো. চাঁদ আলীর মেয়ে হালিমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পরের বছর জসিম মোল্লা জীবিকার তাগিদে চলে গেছেন ইরাকে। আর স্ত্রী হালিমাকে তার শ্বশুর ফ্রিজিয়ান বাছুরসহ একটি গাভী কিনে দেন। সেই বাছুর গরুটিই আজকের বিশাল ‘রাজাবাবু’। প্রায় চার বছর ধরে ঘাস, খড়, ছাল, ছোলা, ভুট্টাসহ বিভিন্ন খাবার দিয়ে নিজের সন্তানের মতোই গরুটিকে পালন করছেন হালিমা খাতুন। প্রতিদিন প্রায় ৬০০-৭০০ টাকার খাবার খায় গরুটি। রাজাবাবুকে ঘিরে হালিমার চোখে এখন নানান স্বপ্ন।

আরও জানা গেছে, কোরবানির ঈদের সময় ঘনিয়ে আসছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ক্রেতাদের তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। এনিয়ে তাদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই।

jagonews24

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, টিনশেডের মেঝেপাকা ঘরের সামনে একটি আমগাছ রয়েছে। সেখানে দড়ি দিয়ে বাঁধা রয়েছে কালো রঙের রাজাবাবু। তাকে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন প্রবাসীর স্ত্রী হালিমা খাতুন।

আরও পড়ুন: হাট কাঁপাতে প্রস্তুত ফেনীর ‘লাল বাহাদুর ও সুলতান’

এসময় হালিমা খাতুন বলেন, প্রায় চার বছর ধরে নিজ সন্তানের মতোই গরুটিকে লালন-পালন করছি। আদর করে নাম রেখেছি ‘রাজাবাবু’। প্রতিমাসে তার জন্য প্রায় ২০-২২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ১০ লাখ টাকা হলে কোরবানির জন্য গরুটিকে বিক্রি করবো।

তিনি আরও বলেন, গরু বিক্রির টাকা দিয়ে আরেকটি গরু কিনবো। বাকী টাকা দিয়ে একটি জমি কিনে, সেখানে বাড়ি বানাবো।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে প্রবাসী জসিম মোল্লা জানান, তার বাড়িতে তেমন লোকজন নেই। বড় গরু বাজারে আনা নেওয়া সমস্যা। আবার ঈদও চলে আসছে। বিক্রি নিয়ে তিনি খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

আরও পড়ুন: জেলার সবচেয়ে বড় গরু রাজাবাবুর ওজন ৪০ মণ, দাম ২০ লাখ

উপজেলা প্রাণিসস্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নে এবছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ৩ হাজার ৫৯৭ টি খামার ও বাসাবাড়িতে মোট প্রায় ২৩ হাজার ৫৬৬টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। যা উপজেলায় চাহিদার তুলনায় ১০ হাজার ৯৩৫টি পশু বেশি রয়েছে। তিনি সব সময় পশু ও মালিকদের সার্বিক খোঁজখবর রাখছেন।

আল-মামুন সাগর/জেএস/এমএস