নড়াইলের দুই গ্রামের দ্বন্দ্ব মেটালো পুলিশ
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার দুই গ্রামের বিবাদমান দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে শান্তি সমাবেশ করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, গত ৩০ মে সন্ধ্যায় চাচুড়ি বাজারে পুরুলিয়া ইউনিয়নের ফুলদাহ ও চাচুড়ি ইউনিয়নের চাচুড়ি গ্রামবাসীর মধ্যে এক দফা সংঘর্ষ হয়। পরদিন ৩১ মে সকালে ওই দুই ইউনিয়নের আরও পাঁচটি গ্রাম দুইপক্ষে ভাগ হয়ে চাচুড়ি গ্রামের আনসার শেখের বাড়ির সামনে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। এ ঘটনার পর উভয়পক্ষ থানায় মামলা করলেও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
এলাকাবাসীর উত্তেজনা প্রশমিত করতে কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুণু সাহা, সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়া সার্কেল) প্রণব কুমার, কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাসমিম আলম স্থানীয় নেতাকর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে কয়েক দফা বসেন।
এর ধারাবাহিকতায় পুরুলিয়া গ্রামের জাকাতুর রহমানকে আহ্বায়ক করে সাতজন উপদেষ্টাসহ ৩৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি শান্তি-সম্প্রীতি কমিটি গঠন করা হয়। জাকাতুর রহমানের সঞ্চালনায় মঙ্গলবার বিকেলে ওই শান্তি-সম্প্রীতি কমিটি দুই ইউনিয়নের শতাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে বিবাদমান দ্বন্দ্ব মীমাংসা করেন।
কমিটির উপদেষ্টাসহ স্থানীয় মুরুব্বিরা দুইপক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। এছাড়া আর যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। এছাড়া স্থানীয় চাচুড়ি বাজারে যেন এর কোনো প্রভাব না পড়ে সেদিকেও সবাইকে সজাগ থাকার কথা বলেন। এসময় উপস্থিত সবার সামনে উভয়পক্ষের নেতারা ভবিষ্যতে কোনো ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটাবেন না বলে অঙ্গীকার করেন।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাসমিম আলমের সভাপতিত্বে ওই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়া সার্কেল) প্রণব কুমার, পুরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মনি, চাচুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেলজার হোসেন ভূঁইয়া, পাঁচগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম সাইফুজ্জামান, বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক পিকুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমদাদুল হক মোল্যা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী মোল্যা প্রমুখ। এসময় পুরুলিয়া ও চাচুড়ি ইউনিয়নের ১৩টি গ্রামের শতাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
হাফিজুল নিলু/এমআরআর/জিকেএস