ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পুলিশের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত: ০১:৩১ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৪

বরিশাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে একাধিক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ির প্রমান পেয়েছে তদন্ত কমিটি।

তবে সেদিনের ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, তিন দিনের বেধে দেওয়া সময়-সীমার মধ্যে প্রতিবেদন (রিপোর্ট) জমা দিতে পারছেন না এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটির প্রধান বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (সদর) শোয়েব আহমেদ জানান, ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সাক্ষির সংখ্যা ছিল প্রায় ৪৭ জনের মতো।

সাক্ষিদের দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেদিনের ধারণ ও সংগ্রহ করা বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ এবং স্থির চিত্রের সাথে সাক্ষিদের দেয়া তথ্যের সাথে মেলানো হচ্ছে। এতে আরও কয়েক দিন সময় লেগে যেতে পারে।
এ কারণে ঢাকা পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ও বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের অতিরিক্ত ৫ দিন সময় বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার বিকেলে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে একাধিক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।

তবে মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার আতিকুর রহমান মিয়া, বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাখাওয়াত হোসেনসহ অন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে গাফেলতি কিংবা তাদের এ ঘটনার সাথে কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, বুধবার সকাল ১১টার দিকে নগরীর বান্দ রোড মেডিকেল কলেজের সামনে আইএইচটি শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ সময় সড়কে যানজট তৈরি হলে পুলিশ তাদের হটিয়ে দিতে গেলে বাক-বিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। লাঠিচার্জ এবং ইটের আঘাতে ২ পুলিশ কনস্টেবলসহ আহত হয় ২০/২২ জন শিক্ষার্থী।

তবে আইএইচটি শিক্ষার্থীরা জানায়, পুলিশ বিনা উস্কানিতে তাদের উপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করায় প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়। লাঠিচার্জে তাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায় বলে তারা দাবি করেন।

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের ঊর্দ্ধতন তিন কর্মকর্তাকে  সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করে পরবর্তী ৩ কার্য দিবসের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরী।