ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

১২ বছর বয়সে বাবার কাছে লাশকাটার হাতেখড়ি নজরুলের

জেলা প্রতিনিধি | বরগুনা | প্রকাশিত: ০৯:১৬ এএম, ৩০ জুন ২০২৩

বরগুনা সদর হাসপাতাল মর্গে মাত্র ১২ বছর বয়সে লাশকাটার কাজে বাবার সহযোগী হিসেবে কাজ শুরু করেন নজরুল ইসলাম। ৪০ বছর বয়সে তিনি এখন পুরোদস্তুর একজন লাশকাটা ডোম। তবে তিনি এখনো তার বাবার সঙ্গে সহযোগী হিসেবেই এ কাজ করছেন। নিজ হাতে বোনের লাশকাটার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার।

নজরুল বরগুনা সদর উপজেলার ৭ নম্বর ঢলুয়া ইউনিয়নের পোটকাখালী এলাকার দুলাল ফকিরের ছেলে। প্রায় ৪৯ বছর ধরে বরগুনা সদর হাসপাতালে লাশকাটার পেশায় আছেন দুলাল ফকির। তবে বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ায় সহযোগী হিসেবে পুরো কাজটি সামলাতে হয় নজরুলকে। আর মাত্র ছয় মাস পর অবসরে যাবেন দুলাল।

jagonews24

কথা বলে জানা যায়, জেলার বিভিন্ন যায়গা থেকে প্রায় প্রতিদিনই ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ আসে মর্গে। হাসপাতালে দায়িত্বরত ডোম দুলাল ফকিরকে মরদেহগুলো কাটতে সহযোগিতা করেন নজরুল। এমনকি বিভিন্ন মামলায় প্রকৃত বিচারের জন্য কবর থেকে মরদেহ তোলা এবং পুলিশের সঙ্গে গিয়ে অজ্ঞাতপরিচয়ে পাওয়া মরদেহ উদ্ধারও করেন তিনি।

এ বিষয়ে নজরুল জাগো নিউজকে বলেন, ছোটবেলায় বাবাকে দেখতাম ডোম হিসেবে লাশ কাটতেন। তখন থেকেই মাত্র ১২ বছর বয়সে তার সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় মরদেহ উদ্ধারে গিয়ে এবং লাশকাটা দেখে দেখে সাহস পেয়েছি। তবে শুরুতে কিছুটা ভয় হলেও এখন আর কোনো ভয় লাগে না।

jagonews24

দীর্ঘ ২০ বছরে লাশ কাটতে গিয়ে খারাপ লাগার কোনো অভিজ্ঞতা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করে আমার বোন। ময়নাতদন্তের জন্য নিরূপায় হয়ে নিজের হাতেই বোনের লাশ কাটতে হয়েছে আমাকে। দায়িত্বের জায়গা থেকে কাজটি করলেও এখনো সে স্মৃতি আমাকে কষ্ট দেয়।

এছাড়া লাশকাটা ঘর নিয়ে আছে নজরুলের বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা। তবে ২০ বছর ধরে সহযোগী হিসেবে লাশ কেটে যাওয়া নজরুলের চাকরি এখনো সরকারিকরণ হয়নি। লাশ কেটে মৃতের স্বজন বা পুলিশ যে টাকা দেয়, তা দিয়েই তার সংসার চলছে।

এমআরআর/জিকেএস