ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

প্রতিপিস কাঁচা মরিচ ১ টাকা

জেলা প্রতিনিধি | শরীয়তপুর | প্রকাশিত: ০৭:২৬ পিএম, ০৫ জুলাই ২০২৩

শরীয়তপুরে একদিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম আবার বেড়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ২৫০-২৮০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হলেও বুধবার (৫ জুলাই) বিক্রি হচ্ছে ৪৮০-৫০০ টাকা দরে। পিস হিসেবে নিলে প্রতি পিস কাঁচা মরিচের দাম রাখা হচ্ছে এক টাকা।

বুধবার সরেজমিনে শরীয়তপুর সদর ও ভেদেরগঞ্জ বাজারে ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিপিস কাঁচামরিচ ১ টাকা

ভেদরগঞ্জ বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা দিদার চৌকিদার জাগো নিউজকে বলেন, তিনি ২০ টাকার মরিচ চেয়েছিলেন। বিক্রেতা তাকে ২১টি মরিচ দিয়েছেন। অর্থাৎ প্রতি পিস মরিচের দাম পড়েছে এক টাকা।

বাজার করতে আসা মিনু বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী একজন দিনমজুর। গতকাল বাজারে এসে মরিচ কিনলাম এক পোয়া ৬০ টাকা দিয়ে। আজ দাম চাচ্ছে ১২০ টাকা। ঈদের আগ থেকে বাজারে এ কী শুরু হলো! বাজারে কাঁচা মরিচের কি এতই অভাব?’

প্রতিপিস কাঁচামরিচ ১ টাকা

হাকিম নামের আরেকজন বলেন, ‘ঈদের সপ্তাহখানেক আগে কাঁচা মরিচ কিনলাম ১০০-১২০ টাকা কেজি। সেই মরিচ এখন ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি, তাই এক পোয়া কিনলাম।’

কাঁচামাল ব্যবসায়ী হারুন ব্যাপারী বলেন, আমরা পাইকারি দোকান থেকেই ৪৮০ টাকা কেজি কিনেছি। বিক্রি করছি ৫০০-৫২০ টাকা দরে। আসলে ভারতে কাঁচামরিচ আমদানি হচ্ছে না। তাই হয়তো দামটা এরকম।’

প্রতিপিস কাঁচামরিচ ১ টাকা

ভেদরগঞ্জ বাজারের কাঁচামালের পাইকারি ব্যবসায়ী মো. দেলোয়ার। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমরা কাঁচা মরিচ কিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে। সেখানে গতকাল খরচ বাবদ বাদ দিয়ে প্রতি কেজি মরিচ কিনেছিলাম ২৪০ টাকা করে। বিক্রি করেছিলাম ২৬০ টাকা দরে। কিন্তু আজ মোকাম থেকেই এসেছে ৪৬০ টাকা কেজি দরে।

সদর উপজেলার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আজ মাত্র ২০ টাকার মরিচ কিনছিলাম কিন্তু পেয়েছি মাত্র ২০টি।’

প্রতিপিস কাঁচামরিচ ১ টাকা

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কাঁচা মরিচের পাইকারি ব্যবসায়ী নায়েব আলী জানান, গতকাল মরিচের আমদানি একটু বেশি হয়েছিল তাই বাজার একটু কম গেছে। আজ মরিচের চাহিদা অনুযায়ী আমদানি নেই। তাই দাম বেশি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান বলেন, কেউ অতিরিক্ত মুনাফার লোভে দাম বেশি রাখলে ও পণ্য মজুত করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসআর/জেআইএম