যুবলীগ নেতার কবজি কর্তন
জেলা আ’লীগের সম্পাদকসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নাটোরে কুপিয়ে ওয়ার্ড যুবলীগ নেতার হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৪ জুলাই) দিনগত রাত ১২টার দিকে আহত মিঠুর ভাই স্বপ্ন বাদশা বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় মামলাটি করেন।
নাটোর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেইন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোর্তজা আলী বাবলু, নাটোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাক আলী মুকুল, সোহাগ, নান্নু শেখ, আশরাফ, রিপন, সাব্বির, মাহতাব, আলম, সাইফুল, নাহিদ জীবন, শরীফ, শুভ, তরিকুল, আশা, ঈমন, জিহাদ, অনন্য, সিজু, সাব্বির, হাসান, জনি, ওবায়দুল সরদার, রুমন, মহসিন ও নাসির। এদের মধ্যে একজন কিশোরও রয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে যুবলীগ নেতার কবজি কেটে নিলো প্রতিপক্ষ
এর আগে সোমবার বিকেলে দোষীদের গ্রেফতার ও তাদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা। জেলা যুবলীগের সভাপতি বাশিরুর রহমান খান চৌধুরীর (এহিয়া) নেতৃত্বে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা নান্নু শেখের সঙ্গে ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন আলীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত ১৬ এপ্রিল যুবলীগ নেতা মিঠুনসহ তার সমর্থকরা নান্নু শেখকে কুপিয়ে জখম করেন। এরপর থেকেই এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মিঠুনসহ তার সমর্থকরা বলারীপাড়া এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় রাজার পুকুর পাড়ে মুখোশ পরা অবস্থায় ২০-২৫ জন যুবক মিঠুনের ওপর হামলা করেন। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেন। এসময় মিঠুনকে বাঁচাতে গেলে তার সমর্থক আরমান আলী, আব্দুলাহ আল রাব্বি ও বকুল মিয়াসহ চারজন আহত হন।
মিঠুন আলীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার লালমাটিয়ায় সিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত মিঠুন আলী (৩৫) শহরের ভবানীগঞ্জ এলাকার মৃত শাহাবুদ্দিন আলীর ছেলে এবং পৌর ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত মিথ্যা মামলা। ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না।
নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রেজাউল করিম রেজা/এসআর/জিকেএস