অর্থ আত্মসাতের মামলা
কারাগারে পাঠানোর নির্দেশের ৪ ঘণ্টা পর জামিন পেলেন সেই অধ্যক্ষ
অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম রেজা
চাকরির প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের মামলায় শেরপুরের জমশেদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম রেজা (৫২) ও তার তিন সহযোগীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশের চার ঘণ্টা পরই আরেক আদালতে মিলেছে তাদের জামিন।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) শেরপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটেছে। জামিন পাওয়া বাকি তিনজন হলেন, একই কলেজের প্রভাষক আলফাজ উদ্দিন (৪২), তার আত্মীয় মো. শেখ জামাল (৪৩) ও মো. হযরত আলী (৪৫)।
মামলার বাদী, আইনজীবী ও আদালত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে চাকরির প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের একটি মামলায় অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম রেজা ও তার তিন সহযোগী শেরপুর সদর আমলী আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। এসময় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারিন ফারজানা উভয়পক্ষের শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর পরপরই তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে আসামিদের পক্ষ থেকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম হুমায়ুন কবীরের কাছে পুনঃজামিনের বিশেষ আবেদন করা হলে তিনি নকলা আমলী আদালতের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল মাহমুদের আদালতে তা শুনানির জন্য পাঠান। সেখানে বিকেল ৪টায় শুনানি নিয়ে তিনি অধ্যক্ষসহ চার আসামিকেই পুলিশ প্রতিবেদন দাখিলের আগ পর্যন্ত জামিনে মুক্তির আদেশ দেন। আর ওই আদেশের পর জেলা কারাগারে পাঠানোর আগেই আদালতের হাজত থেকেই মুক্ত হয়ে বেরিয়ে যান আসামিরা।
আদালতের পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার শহিদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিরা অর্থ আত্মসাতের একটি মামলায় গত ১৩ জুন উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন লাভ করেন। কিন্তু উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক আমলী আদালতে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে জামিননামা দাখিল ও আত্মসমর্পণ না করায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। তবে পরবর্তীতে একইদিন বিকেলে আসামিপক্ষের বিশেষ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পৃথক একটি আদালত তাদের জামিনে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
শেরপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার রুকনুজ্জামান লিটন বলেন, বিশেষ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একজন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জামিন দিয়েছেন। ফলে কারাগারে যাওয়ার আগেই তারা আদালতের হাজত থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
ইমরান হাসান রাব্বী/এমআরআর/জেআইএম