ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

খুলছে না মনোনয়ন জট, বিপাকে নৌকার মাঝিরা

প্রকাশিত: ০৪:৩৯ এএম, ১৯ মার্চ ২০১৬

নড়াইলে অদৃশ্য কারণে মনোনয়ন জট না খোলায় প্রতীক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে না নৌকার মাঝিদের। বইছে না নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার নৌকার পাল।  দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় দলের মনোনয়ন পাওয়ার অপেক্ষায় নৌকার মাঝিরা। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে নড়াইলে নির্বাচন না হওয়ায় তৃতীয় ধাপে ২৩ এপ্রিল জেলার ৩৯টি ইউনিয়নের মধ্যে নির্বাচন হবে সদরের ৭টি ইউনিয়নে। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৭ মার্চ মনোনয়ন জমাদানের শেষদিন। যাচাই বাছাই ২৯, ৩০ মার্চ। মনোনয়ন প্রত্যাহার ৬ এপ্রিল এবং নির্বাচন ২৩ এপ্রিল।

জেলা আওয়ামী লীগের জেলা উপজেলা পর্যাদের নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত মনোনয়ন বোর্ডের নিকট মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাতকার প্রদান করেছেন এ মাসের প্রথম থেকেই। মনোনয়ন বোর্ড ৩ জনের নাম উল্লেখ করে সুপারিশও কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন  এবং ১৫ মার্চ প্রথম ৭টি ইউনিয়নের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি।

তবে গোপন সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন চন্ডিবরপুর ইউনিয়নে মো. আজিজুর রহমান ভূইয়া, আউড়িয়ায় পলাশ মোল্যা, শাহাবাদে খশরুল আলম পলাশ, মুলিয়ায় রবিন্দ্রনাথ অধিকারী, মাইজপাড়ায় জিল্লুর রহমান, হবখালীতে চঞ্চল, তুলারামপুরে বুলবুল হোসেন। এদের মধ্যে প্রকৃত আওয়ামী লীগ যারা করেন তারা মনোনয়ন পায়নি।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে শাহাবাদসহ একাধিক ইউনিয়নে মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীদের লোকেরা মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে আন্দোলন শুরু করে যা বিভিন্ন মিডিয়া সামাজিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তারপর মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীরা ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের শরণাপন্ন হয়ে নিজেদের পক্ষে দেন দরবার শুরু করে। এসব কারণে ঝুলে আছে নড়াইলের মনোনয়ন প্রার্থীদের নাম ঘোষণা। এ বিষয় নিয়ে নড়াইলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।

নড়াইলে বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে কোন তাপ উত্তাপ না থাকলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা পাওয়ার আশায় নানান প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন মডেল ইউনিয়ন গড়তে।
তেমনি নড়াইলের সদর উপজেলার ১০ নং ভদ্রবিলা ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়ন করতে চায় মো. সাইদুর রহমান (সহিদ)। ১৬ তারিখ মনোনয়ন বোর্ডের সাক্ষাতকারের পর এ ঘোষণা দেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সমাজ সেবক মো. সাইদুর রহমান(সহিদ)।

মনোনয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ভদ্রবিলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের পক্ষে ১৪ জন মনোনয়ন পত্র ক্রয় করলেও বর্তমান চেয়ারম্যান লিয়াকত শিকদার, আবিদুল ইসলাম আবিদ, হামিদ কাজি, আল ইমাম শিকদার, হুমায়ুন, হাফিজুর রহমান, সরয়ার সরদার, উজ্জ্বল, জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়ন বোর্ডে উপস্থিত হয়ে সাক্ষাতকার প্রদান করেন। এদের সকলেই ইউনয়নের উন্নয়ন করার আশ্বাস দিয়েছেন।

মো. সাইদুর রহমান (সহিদ) বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী দল। তারপরও ভদ্রবিলা ইউনিয়নকে সন্ত্রাস, মাদকমুক্ত করে রাস্তাঘাট, ব্রিজ সংস্কার করে মডেল ইউনিয়ন করতে চাই। ইউনিয়নের ৭০ভাগ জনগণ আমার সঙ্গে আছে এবং আমার পাশে থেকে মডেল ইউনিয়ন গড়তে সহযোগিতা করবে।

ভদ্রবিলা ইউনিয়ন সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ থেকে সৎ যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দিলে ইউনিয়নের বেশির ভাগ ভোটাররা মনে করেন তার কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকবে না, সে সিলেকশনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস বোস এর কাছে মনোনয়নের বিষয় জানতে চাইলে বলেন, আমরা এলাকায় বিভিন্ন সূত্রে জরিপ করে ৩  প্রার্থীর নাম কেন্দ্রে পাঠাবো। কেন্দ্রে থেকে যাকে নির্বাচন করবে আমরাও তাকে দোয়া করবো এবং ইউনিয়নের নেতাবৃন্দকে তার পক্ষে প্রচার প্রচারণা করে জয়যুক্ত করতে আহ্বান জানাবো।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খাঁন নিলু এর নিকট জানতে চাইলে বলেন, মনোনয়নের ব্যাপারে আমরা ডিএসবি, ডিবি, এনএসআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট সংগ্রহ করেছি যাদের তথ্য ভালো পাওয়া গেছে তাদের মধ্য থেকে তিনজনের নাম ব্যাখ্যাসহ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

হাফিজুল নিলু/এসএস/এমএস