ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মুন্সিগঞ্জে ট্রলার ডুবি

১০ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ এক

জেলা প্রতিনিধি | মুন্সিগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৬:৪১ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০২৩

 

মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরেক শিশু মাহিরের (৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ২০০ মিটার দূরে শিশুটির মরদেহ ভেসে উঠলে উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর সদস্যরা। এ নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় মোট ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হলো।

এর আগে সকালে ৭টার দিকে নিখোঁজ তোরানের (৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনায় এখন নাভা (৪) নামে আরেক শিশু নিখোঁজ আছে। তোরান ও নাভা আপন ভাইবোন। তারা সিরাজদিখান উপজেলার কয়রাখোলা গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী আরিফ খানের ছেলে-মেয়ে। আর মাহির খিদিরপুর গ্রামের রুবেল হোসেনের ছেলে।

আরও পড়ুন: ৩১ ঘণ্টা পর আরেক শিশুর মরদেহ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ২

লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার কয়েস আহমেদ বলেন, নিখোঁজদের সন্ধানে নদীতে অভিযান চলাকালে মাহিরের ভাসমান মরদেহ দেখতে পাই। দুর্ঘটনাস্থলের ২০০ মিটার ভাটি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকালে সুবচনী বাজার এলাকা থেকে তোরানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এখনো নাভা নামে এক শিশু নিখোঁজ আছে। তাকে উদ্ধারে অভিযান চলছে।

গত শনিবার (৫ আগস্ট) সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুর থেকে ট্রলারে করে নৌভ্রমণে বের হয় স্থানীয় ৪৬ জন। পদ্মা সেতু ও আশপাশের এলাকা ঘুরে ফেরার সময় রাত ৮টার দিকে পদ্মার শাখা নদীর লৌহজং উপজেলার রসকাটি এলাকায় পৌঁছালে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায় ট্রলারটি। দুর্ঘটনার পর রাতেই সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন: পদ্মায় ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধার, মেলেনি নিখোঁজদের সন্ধান

তারা হলেন, সিরাজদিখানের লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুর এলাকার জাহাঙ্গীরের স্ত্রী এপি বেগম (২৮) ও তার দুই ছেলে সাকিবুল (১০) এবং সাজিবুল (৭)। একই এলাকার ফিরোজ সরকারের ছেলে ফারিয়ান (৮), শাহাদাত হোসেনের পাঁচ মাসের মেয়ে হুমায়রা, শাহজাহানের স্ত্রী মোকসেদা বেগম (৩৮) ও আব্দুল হাকিমের মেয়ে পপি (৩০)। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা বাল্কহেডটি জব্দ করে।

এ ঘটনায় বাল্কহেড মালিক, চালক ও হেলপারসহ পাঁচজনকে আসামি করে লৌহজং থানায় মামলা করা হয়েছে।

আরাফাত রায়হান সাকিব/এমআরআর/এমএস/এএসএম