নির্ধারিত দামে মিলছে না এলপিজি সিলিন্ডার
নীলফামারীতে সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না এলপিজি সিলিন্ডার। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলারেটি কমিশন (বিইআরসি) নির্ধারিত দামের থেকে প্রায় ২০০-২৫০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের।
তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিলারদের কাছে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই নির্ধারিত দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।
জানা যায়, ২ আগস্ট বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলারেটি কমিশন (বিইআরসি) ভোক্তা পর্যায়ে ১২ লিটার এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করে ১ হাজার ১৪০ টাকা। তবে জেলার বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে ভোক্তা পর্যায়ে বসুন্ধরা ও ওমেরা এলপি গ্যাসের ১২ কেজির মূল্য ১ হাজার ২৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, বিএম ১ হাজার ২৩০ টাকা, যমুনা, লাফস ও বেক্সিমো ১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমন অবস্থায় সরাকরি নজরদারি কম থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

নীলফামারী পাঁচমাথা মোড়ের সাজু গ্যাস বিতানে সিলিন্ডার কিনতে আসেন মহসিনিন ইসলাম। অতিরিক্ত দাম নেওয়ায় শাক-সবজি কেনার টাকা যুক্ত করে সিলিন্ডার কিনেছেন তিনি।
মহসিনিন ইসলাম বলেন, নির্ধারিত মূল্যের থেকে প্রায় ২০০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হলো গ্যাস। ডিলাররা নাকি বেশি নিচ্ছে তাই তারাও বেশি নিচ্ছে। এমন হলে তো সব দিক দিয়েই সমস্যা। বাড়তি ২০০ টাকা হলে বাড়িতে কাচা বাজার কিনতে পারতাম।
স্কুল শিক্ষক মিতু আক্তার বলেন, সরকারের নির্ধারিত মূল্যের বাইরে বেশি দাম দিয়ে সিলিন্ডার কিনতে বাধ্য হচ্ছি। কারণ গ্যাস রান্নার জন্য বাধ্যতামূলক। এ অবস্থায় সরকারের নজরদারি থাকলে হয়ত ভোক্তাদের ভোগান্তিটা পেতে হতো না।
খুচরা ব্যবসায়ী সাজু মিয়া বলেন, আসলে দামের ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। ডিলারদের কাছে বেশি দামে কিনতে হয়, তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

আরেক খুচরা বিক্রেতা আখতার হোসেন বলেন, ১২০০ টাকার বেশি দিয়ে কিনেছি। তাও চাহিদা মতো পাইনি। বেশি দামে কিনলে তো কিছু টাকা লাভ রেখে বিক্রি করতে হবে। এখানে সব উপর থেকেই দাম বাড়া কমা হচ্ছে, আমাদের হাতে কিছু নেই।
বসুন্ধরা এলপিজি ডিলার আখতার হোসেন স্বপন বলেন, আমরা চাহিদা মত সাপ্লাই পাচ্ছি না। এলপিজি গ্যাস সংকট ও উৎপাদনকারি কোম্পানির কাছে বেশি দামে কেনার কারণে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বেশি হচ্ছে।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শামসুল আলম বলেন, গ্যাসের দাম বেশি নেওয়ায় ইতিমধ্যে অভিযান পরিচালনা করেছি। সঠিক দামে যেন ক্রেতারা গ্যাস কিনতে পারে সে জন্য অভিযান চলমান আছে।
রাজু আহম্মেদ/এএইচ/জেআইএম