ভাঙা জানালা নিয়েই উদ্বোধন হলো মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স
জানালার ভাঙা গ্লাস আর জরাজীর্ণ ভবন সংস্কার না করেই উদ্বোধন করা হয়েছে ভৈরব উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স।
রোববার (২০ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে তাতারকান্দি এলাকায় নির্মিত ভৈরব উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবনির্মিত তিনতলা ভবনের সিঁড়ির পাশের তিনটি জানালাসহ কয়েকটি জানালার গ্লাস ভাঙা রয়েছে। এছাড়া ভবনের ভেতরের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টির পানি পড়ে দেওয়ালের অনেকাংশের রং নষ্ট হয়ে গেছে। দ্বিতীয় তলার অফিস রুমের সামনে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে চেয়ার, টেবিল, আলমারি। অযত্ন আর অবহেলায় ফেলে রাখায় রোদ-বৃষ্টিতে সেগুলো ফেটে গেছে।
তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, ভবন নির্মাণের পর দীর্ঘ সময় ধরে পড়ে থাকার কারণে ভবনের জানালার গ্লাসসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র কিছুটা নষ্ট হয়েছে। কার্যক্রম না থাকায় অযত্নে অবহেলায় এমনটা হয়েছে বলে তাদের দাবি।
ভৈরব উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. ফরহাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষে ভবনটি আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে। ভবনটি নির্মাণের প্রায় তিন বছর পর আজ মন্ত্রী সেটি উদ্বোধন করেন। দীর্ঘ সময় ভবনটিতে কোনো কার্যক্রম না থাকায় পাশের খেলার মাঠের বল পড়ে কয়েকটি জানালার গ্লাস ভেঙে যায়। এখন ভৈরবের মুক্তিযোদ্ধাদের বসার একটি জায়গা হয়েছে। যেহেতু ভবনটি উদ্বোধন হয়েছে এখন সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, দীর্ঘ সময় হয়েছে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এতদিন পড়ে থাকায় ঝড়-বৃষ্টি এবং ভবনের পাশে ছেলেরা খেলাধুলা করায় বল এসে কয়েকটি জানালার গ্লাস ভেঙে যায়। এখন কমপ্লেক্সটির কার্যক্রম শুরু হলে সবকিছুই পুনরায় মেরামত করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনতলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। নির্মিত ভবনটিতে প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় ১২টি দোকান, একটি হল রুম ও দুটি অফিস রুম রয়েছে। নির্মাণ কাজের দায়িত্বে ছিলেন ঠিকাদার আরমান হোসেন চঞ্চল।
রাজীবুল হাসান/এমআরআর/জিকেএস