ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

প্রতিশ্রুতিতেই খালাস জনপ্রতিনিধিরা

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী | মাদারীপুর | প্রকাশিত: ০৫:৫৩ পিএম, ২১ আগস্ট ২০২৩

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও যেন দেখার কেউ নেই। নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে আর খোঁজ থাকে না তাদের। স্থানীয়দের দাবি তাদের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হোক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের নতুন আন্ডারচর গ্রাম ও চরফতে বাহাদুর ইউনিয়নের নতুন চরদৌলাত খাঁন গ্রামের মাঝ দিয়ে আড়িয়াল খাঁ নদের শাখা (খাল) বয়ে গেছে। স্থানীয়রা বহু বছর ধরে এই খালটির ওপর ব্রিজের দাবি জানালেও এখন পর্যন্ত তা নির্মাণ হয়নি। ফলে ওই দুই ইউনিয়নের চিঠিরচর, নতুন আন্ডারচর, নতুন চরদৌলাত খাঁনসহ প্রায় ৫ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের ভরসা এখন বাঁশের সাঁকো। তবে বর্ষার চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় এসব মানুষকে।

এই সাঁকো দিয়েই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কৃষক, বিভিন্ন ব্যবসায়ী, অসুস্থ রোগীসহ কয়েক হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হন। প্রথম দিকে এই খাল পারাপারের একমাত্র ভরসা ছিল নৌকা। পরে গ্রামবাসী মিলে সাঁকো নির্মাণ করেন। এই সাঁকোর সংস্কার ও পুননির্মাণ গ্রামবাসীই করে আসছেন।

jagonews24

স্থানীয় আলেম সরদার, মিজান, খোকন, সিমা বেগম, আনোয়ার হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, এই বাঁশের সাঁকোটি প্রায় ১২০ থেকে ১৫০ ফুট দীর্ঘ। পারাপারের সময় দোলে। অনেক স্থানে বাঁশ-খুঁটি পচেও গেছে। তাই খুব সাবধানে পার হতে হয়। অনেকদিন ধরেই এই খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণের দাবি করে আসলেও কোনো লাভ হয়নি। নির্বাচন এলেই এলাকার জনপ্রতিনিধিরা ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু পরে আর ব্রিজ নির্মাণ করে দেন না।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, এখানে একটি ব্রিজের জন্য দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাদের দাবি থাকলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি একটি ব্রিজ।

সাহেবরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহিম মুরাদ সরদার বলেন, সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) আবেদন করা হবে। আবেদনের পর আশা করছি তারা দ্রুত এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে।

কালকিনি উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম বলেন, গ্রামবাসীর দুর্ভোগ কমানোর জন্য দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এবং খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এফএ/এমএস