ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শত বছর ধরে দ্যুতি ছড়াচ্ছে যে বিদ্যাপীঠ

শেখ মহসীন | ঈশ্বরদী (পাবনা) | প্রকাশিত: ০৮:১৬ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০২৩

১০৬ বছর ধরে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ‘সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’। ১৯১৭ সালে টিনের গুদামঘরে সাঁড়া মাড়োয়ারী ইনস্টিটিউশন নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু করেছিলেন সাঁড়াঘাট এলাকায় ধনাঢ্য মাড়োয়ারী ব্যবসায়ী হরিপ্রসাদ ঝুনঝুনওয়ালা। এরপর থেকে দ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির বিদ্যালয় শাখায় ১০০৭ জন ও কলেজ শাখায় ৮৩২ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।

সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পাবনার অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি পাবনার ঈশ্বরদী পৌর শহরের পশ্চিমটেংরী এলাকায় অবস্থিত। ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি প্রমত্তা পদ্মা নদীর তীরে মাড়োয়ারী সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ী হরিপ্রসাদ ঝুনঝুনওয়ালা তার টিনের গুদাম ঘরে প্রতিষ্ঠা করেন সাঁড়া মাড়োয়ারী ইনস্টিটিউশন। পরের বছরই তা মিডল ইংলিশ স্কুল হয়।

১৯২০-২১ সালের মধ্যেই তা রূপান্তরিত হয় সাঁড়া মাড়োয়ারী ইংলিশ হাই স্কুলে। পদ্মার ভাঙনের আশঙ্কায় ১৯৩০ সালে সাঁড়া ঘাট থেকে ঈশ্বরদী শহরের পশ্চিমটেংরী এলাকায় স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি পরিচিতি লাভ করে ‘সাঁড়া মাড়োয়ারী উচ্চ বিদ্যালয়’ বা ‘এস এম হাই স্কুল’ নামে।

আরও পড়ুন: কেউ পাস করেনি এমন স্কুল-মাদরাসাকে শোকজ, প্রয়োজনে বেতন বন্ধ

২০০০ সালে বিদ্যালয়টি কলেজ শাখায় উন্নীত হলে এর নামকরণ করা হয় ‘সাঁড়া মাড়োয়ারী স্কুল অ্যান্ড কলেজ’। ২০১২ সালে মডেল স্কুলের স্বীকৃতি লাভের পর থেকে বিদ্যালয়ে সহশিক্ষা চালু হয়। ফলে ওই বছর থেকে বিদ্যালয়টির ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও পড়ালেখার সুযোগ পায়। তখন বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয় ‘সাঁড়া মাড়োয়ারী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’।

২০১৯ সালে সরকারীকরণের পর বিদ্যালয়ের নামের আগে ‘সরকারি’ শব্দ লাগিয়ে স্কুলের নামকরণ করা হয় ‘সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’। ১৯৪৭ সালের আগ পর্যন্ত বিদ্যালয়টি প্রথমে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালকাটা এবং পরে কলকাতা শিক্ষা বোর্ডের অধীন ছিল। তখন স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হতো ব্রিটিশশাসিত কলকাতা বোর্ডের নিয়ম-কানুন ও অনুসৃত নীতিমালার ভিত্তিতে। প্রতিষ্ঠানের অঞ্চল ‘সাঁড়া’ ও প্রতিষ্ঠাতার সম্প্রদায় ‘মাড়োয়ারী’ মিলিয়ে বিদ্যালয়ের নাম রাখা হয় ‘সাঁড়া মাড়োয়ারী উচ্চ বিদ্যালয়’।

মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ’৬২’র শিক্ষা কমিশন আন্দোলন, ’৬৬’র ছয় দফা, ’৬৯’র গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের অগ্রগামী ভূমিকা ছিল। বিদ্যালয়ের তৎকালীন অসংখ্য ছাত্র-শিক্ষক মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান ১৯৬৪ সালে এ বিদ্যালয়ের মাঠে জনসভার আয়োজন করেছিলেন। তবে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাহসিকতার সঙ্গে জনসভা ভন্ডুল করে দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: ১৭ জোড়া যমজ ভর্তি প্রাইমারি স্কুলে, মাথায় হাত শিক্ষকদের!

১৯৬৬ সালে ঈশ্বরদীতে প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয় এ বিদ্যালয়ের প্রবেশপথে কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা শহীদ মিনারটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্রদের অবদান ছিল অবিস্মরণীয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন বিদ্যালয়ের তৎকালীন সহকারী প্রধান শিক্ষক (পরবর্তীসময়ে প্রধান শিক্ষক) ইছাহক আলী। এ আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের ভেতর ও বাইরের মাঠে ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বে পৃথকভাবে প্রথমে বাঁশের লাঠি নিয়ে শারীরিক কুচকাওয়াজ ও পরে রাইফেল চালানোর প্রশিক্ষণ শুরু হয়। পরে এ সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের ছাত্ররা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

শিক্ষক-শিক্ষার্থী

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির বিদ্যালয় শাখায় ১৩ জন ও কলেজ শাখায় ২২ জন শিক্ষক রয়েছেন। এছাড়া বিদ্যালয় শাখায় শিক্ষক সংকটের কারণে এখানে খণ্ডকালীন (গেস্ট শিক্ষক) রয়েছেন সাতজন। এ বিদ্যালয়ে ২০১০ সাল পর্যন্ত শুধু ছেলেরা পড়াশোনা করতে পারতো। ২০১১ সালে বিদ্যালয়কে মডেল স্কুল হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ার পর এখানে ছাত্রী ভর্তি শুরু হয়। বর্তমানে বিদ্যালয় শাখায় ১০০৭ শিক্ষার্থী রয়েছে। এরমধ্যে ৬৮৪ জন ছাত্র ও ৩২৩ জন ছাত্রী। কলেজ শাখায় ৮৩২ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ৪৯৮ জন ছাত্র ও ৩৩৪ জন ছাত্রী।

৮ দশমিক ১৯ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ে ১৫০ ফুট প্রশস্ত ও ১৮০ ফুট দৈর্ঘ্য একটি খেলার মাঠ রয়েছে। রয়েছে লাইব্রেরি, বিজ্ঞানাগার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব।

আরও পড়ুন: জিপিএ-৫ পাওয়ায় ছাত্রকে নিয়ে বিমানভ্রমণে স্কুল সভাপতি

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক ছিলেন বিদ্যাধর দাসগুপ্ত। এছাড়া বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক প্রয়াত লুৎফর রহমান ও সাবেক প্রধান শিক্ষক প্রয়াত ইছাহক আলী বিদ্যালয়ের নানা উন্নয়ন ও তাদের সাফল্যময় কর্মজীবনের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন। বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রয়াত আব্দুর রহিমসহ আরও বেশ কয়েকজন সহকারী শিক্ষক বিচক্ষণ ও দক্ষ শিক্ষাগুরু হিসেবে ছাত্রদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন।

শত বছর ধরে দ্যুতি ছড়াচ্ছে যে বিদ্যাপীঠ

বিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থী

এ বিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস, সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ, ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান জয়ন্ত নাথ চৌধুরী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হাসিবুর রশিদ, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী গ্যাস্ট্রোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. মনজুর আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইলিয়াস হোসেন, অধ্যাপক লতিফুর বারী, ইউনিভার্সিটি অব মালয়েশিয়ার পারলিসের ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস অ্যান্ড কমিউনিকেশনের অধ্যাপক ও গবেষক আমিনুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ প্রমুখ।

বর্তমান শিক্ষার্থীদের অভিমত

বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী রাইসা রাকা ইলমা। সে বলে, ‘আমার বাবাও এ স্কুলের ছাত্র ছিলেন। এ স্কুলে পড়ার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। স্কুলের ফলাফল খুবই ভালো। আমিও ভালো ফলাফল অর্জন করে স্কুলের সুনাম বয়ে আনতে চাই।’

আরও পড়ুন: ৩০ কর্মদিবসে বিয়ে না করলে চাকরি হারাবেন শিক্ষক!

একই শ্রেণির ছাত্র সানিম মুক্তাদি বলে, ‘১০৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে পেরে আমি আনন্দিত। এ বিদ্যালয়ের অসংখ্য কৃতী শিক্ষার্থী দেশে-বিদেশে সুনামের সঙ্গে নানা পেশায় কর্মরত। আমিও এ বিদ্যালয় থেকে ভালো ফলাফল করে উচ্চশিক্ষা নিয়ে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই।’

প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অভিমত

অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব ও লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল আহমেদ বলেন, পাবনার এক ঐতিহ্যবাহী স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম সাঁড়া মাড়োয়ারী উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়টির বর্তমান বয়স ১০৬। আমরা আট সহোদরের সাতজনই বিদ্যালয়টির ছাত্র ছিলাম।

শত বছর ধরে দ্যুতি ছড়াচ্ছে যে বিদ্যাপীঠ

পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, এ বিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় ১৯৬৩ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগ দিয়ে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেছিলাম। ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে এ বিদ্যালয় মাঠে আইয়ুব খানের ডাকা জনসভা আমরা পণ্ড করে দিয়েছিলাম। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক ছাত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে ঈশ্বরদীকে হানাদারমুক্ত করেছিলেন।

আরও পড়ুন: ৮০০ শিক্ষার্থীর চোখে রোবট তৈরির স্বপ্ন

যা বললেন শিক্ষকরা

সিনিয়র শিক্ষক মীর হান্নানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি এ স্কুলের ছাত্র ছিলাম। এখানে শিক্ষক হিসেবে ৩৪ বছর ধরে কর্মরত। এটি আমার জন্য গর্বের ও আনন্দের।’

তিনি বলেন, ‘আমার অসংখ্য ছাত্র চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশায় দেশ-বিদেশে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তারা মাঝে মধ্যে খোঁজখবর নেয়। আমার অনেক ছাত্র চিকিৎসক। তাদের কাছ থেকে আমি চিকিৎসাসেবা নিই। সত্যিই এ বিদ্যালয়ে ছাত্র ও শিক্ষক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি।’

শত বছর ধরে দ্যুতি ছড়াচ্ছে যে বিদ্যাপীঠ

সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরীক্ষার ফলাফল ও শিক্ষার মানদণ্ডে এ অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে সুখ্যাতি রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটির। এখানকার প্রাক্তন ছাত্র ও বর্তমান শিক্ষক হিসেবে সত্যই আমি গর্বিত।’

সহকারী শিক্ষিকা ফারজানা ইয়াসমিন দ্বীনা বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় আমাদের ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। ৯৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।’

আরও পড়ুন: হেলিকপ্টারে ঘুরলো এসএসসিতে ১২০০ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীরা

শিক্ষাবিদদের অভিমত

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মীর হুমায়ুন কবির বলেন, ‘শতবর্ষী সাঁড়া মাড়োয়ারী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ শুধু ঈশ্বরদী কিংবা পাবনা জেলায় নয়; বাংলাদেশের মধ্যে একটি অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ। বাংলাদেশের সব স্বাধিকার সংগ্রামে এ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমার কাছে এই বিদ্যালয়ের অনুভূতিটা একটু অন্যরকম।’

শত বছর ধরে দ্যুতি ছড়াচ্ছে যে বিদ্যাপীঠ

ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক ও ঈশ্বরদী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি স্বপন কুমার কুন্ডু বলেন, ‘ঈশ্বরদীতে প্রথম শহীদ মিনার এ স্কুলে প্রতিষ্ঠিত হয়। ঈশ্বরদী উপজেলার স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সূতিকার ছিল এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানকার শিক্ষক ও ছাত্ররা মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্কুলের শিক্ষার্থীরা দেশ ও বিদেশে উচ্চপদে অধিষ্ঠিত আছেন। এ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে আমি গর্ববোধ করি।’

অধ্যক্ষের বক্তব্য

সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) শহিদুল ইসলাম শাহীন বলেন, এ প্রতিষ্ঠানে যেদিন আমি প্রভাষক হিসেবে যোগদান করি সেদিন নিজেকে ধন্য মনে হয়েছিল। এটা যেন এক অন্যরকম প্রাপ্তি ছিল আমার কাছে। সাঁড়া মাড়োয়ারী স্কুলের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের যে ফলাফল তা অত্যন্ত ঈর্ষণীয়।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক সংকট রয়েছে। আশা করি শিক্ষা অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয় এ বিষয়টি দ্রুত সমাধান করবে।

এসআর/জেআইএম