ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নদীগর্ভে বাজার রক্ষা বাঁধ, হুমকির মুখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

জেলা প্রতিনিধি | বরগুনা | প্রকাশিত: ০৯:৪৪ এএম, ২৮ আগস্ট ২০২৩

ভারী বর্ষণ আর জোয়ারে পানি বাড়ায় বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালী বাজার রক্ষা বাঁধ খাকদোন নদীতে ধসে পড়ছে। এতে করে হুমকির মুখে চান্দখালী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এক সপ্তাহের টানা বর্ষণের কারণে চান্দখালী বাজারের পশ্চিম পাশের সড়কটি ধসে খাকদোন নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙা সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পথচারী, স্কুল শিক্ষার্থী ও যানবাহন চলাচল করছে। দ্রুত এই সড়কটি মেরামত করা প্রয়োজন।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রে জানা গেছে, অতি বর্ষণের কারণে উপজেলার চান্দখালী বাজার রক্ষা বাঁধের ৫০ মিটার খাকদোন নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙা স্থান দ্রুত সংস্কার করা হবে। বরগুনায় ২২টি পোল্ডারে ৮০৫ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চান্দখালী বাজারের দক্ষিণ মাথার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি নদীতে বিলীন হয়েছে। একই সঙ্গে সড়কটির পাশে থাকা চান্দখালী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।

jagonews24

আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তি চরমে

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বেতাগী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান বলেন, সড়ক নদীতে ধসে পড়ার বিষয়ে বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হবে।

এই এলাকার বাসিন্দা আফজাল বলেন, চলতি মাসের প্রথম দিকে টানা বর্ষণের কারণে চান্দখালী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির পাশের রাস্তাটি ধসে পরছে। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অনেক শিশু শিক্ষার্থী চলাচল করে। তারা এখন এই পথ দিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করতে চায় না।

চান্দখালী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাজিবুর রহমান বলেন, স্কুলে আসা-যাওয়ার রাস্তাটি ভেঙে নদীতে পড়ছে। ভাঙা স্থান দিয়ে স্কুলে ঢুকতে বের হতে হয়।

চান্দখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আল আমিন হিরা বলেন, এই ভাঙা সড়ক দিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানের ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা আসা-যাওয়া করে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই এই ভাঙা স্থানটি মেরামত করা দরকার। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসা উচিত সড়ক সংস্কারে।

আরও পড়ুন: স্কুলমাঠে হাঁটুপানি, ভিজে ক্লাসে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের

চান্দখালী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবলুর রহমান বলেন, সড়কের ভাঙা স্থান পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডর কর্মকর্তারা। তারা ভাঙা জায়গা মেপে নিয়েছেন। তারা বলছেন অল্প কয়েক দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে। ভাঙনের কারণে আমাদের বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের দেওয়াল ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। বর্ষা ও ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে যে কি অবস্থা হবে তা ভেবেই দুশ্চিন্তায় আছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, ভাঙন স্থানটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। এরই মধ্যে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জরুরি মেরামতের জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেএস/জিকেএস