ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রামগঞ্জে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

জেলা প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ০৭:৩৭ পিএম, ২১ মার্চ ২০১৬

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ শহরে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের  ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গ্রুপের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সোমবার রাত ৯টার দিকে পৌরসভা কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

পরে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা পুলিশের সহযোগিতায় পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল চৌকিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে দু’গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

দলীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সম্প্রতি রামগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এমরান হোসেন বাচ্চু ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল চৌকিয়ার নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।

এনিয়ে নির্বাচনের পর দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটে। এর জের ধরে সোমবার রাতে পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে সোহেলের অনুসারী পৌর কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রুবেলকে মারধর করে এমরানের লোকজন।

এক পর্যায়ে দু’পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটনানো হয়। এতে সংঘর্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হন। তারা স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ছাত্রলীগ নেতা সোহেল চৌকিয়া বলেন, পরিকল্পিতভাবে এমরান আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। পরে পুলিশের এসআই একেএম ছায়েদুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের লোকজন আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও মালামাল তছনছ করেছে।

তবে পাল্টা অভিযোগ করেন এমরান হোসেন বাচ্চু। তিনি বলেন, এ ঘটনার জন্য দায়ী সোহেল ও তার লোকজন।

রামগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সোলায়মান চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পুলিশের বিরুদ্ধে হামলায় সহযোগিতার অভিযোগ সঠিক নয়।

কাজল কায়েস/বিএ