দুপুরেই ফাঁকা লতুব্দি ও রশুনীয়া ভোটকেন্দ্র
দুপুরের পর প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে সিরাজদিখান থানার রশুনীয়া ও লতুব্দি ইউনিয়নের ভোটকেন্দ্র। হাতেগোনা দুই-তিনজন ভোটার আসছেন, নিরিবিলি ভোট দিয়ে যাচ্ছেন। এরই ফাঁকে দুপুরের খাওয়া সেরে নিচ্ছেন সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার পুলিশ আনসার সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপর আড়াইটায় এ দুই ভোটকেন্দ্র ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রশুনীয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, লাইন ছাড়া দু’চারজন ভোটার ভোট দিচ্ছেন। মোট ৪টি বুথে ৪ জন ভোটারকেই দেখা গেলো। চিত্র এমন যে পুলিশ আনসার সদস্য ও ভোটগ্রহণের দায়িত্বের লোকজনদের সংখ্যােই বেশি।
ভোটকেন্দ্রটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কিশোর কান্তি বালা জাগো নিউজকে বলেন, ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে এই কেন্দ্রের ভোট সংখ্যা ১৫৫৩। ৪টি বুথে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৯৫৮টি।
তিনি জানান, বাইরের খবর কি বলতে পারবো না। তবে ভোটকেন্দ্রের ভিতরে কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। নির্বিঘ্নে ভোটাররা ভোট দিয়ে যাচ্ছেন। সকল প্রার্থীরই পোলিং এজেন্ট উপস্থিতি আছে। তবে দুপুরের পর ভোটারের সংখ্যা অনেক কমে এসেছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে সিরাজদিখানের লতুব্দি ইউনিয়নেও একই দৃশ্য। দুপুরের পর ভোট কেন্দ্রে কমেছে ভোটারদের উপস্থিতি। নিমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. হেলাল উদ্দিন জানান, চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই এখানে মুখ্য। ৪জন প্রার্থী এখানে ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, এসএম সোহরাব হোসেন নৌকা, খলিলুর রহমান মাহমুদ (ধানের শীষ), হাফেজ মো, ফজলুল হক(আনারস) ও মো. সরফুদ্দিন ভূইয়া (হাতপাখা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এই ভোটকেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ২২২৬ জন। এর মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
জেইউ/এমএম/এআরএস/আরআইপি