ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কারাগারে মারা গেলেন শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি

উপজেলা প্রতিনিধি | ঈশ্বরদী (পাবনা) | প্রকাশিত: ০৮:০২ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পাবনার ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে হামলা, গুলিবর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবুল কালাম আজাদ (৬৫) মারা গেছেন। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহী কারাগারে তিনি মারা যান।

আবুল কালাম আজাদ পাকশী ইউনিয়নের যুক্তিতলা গ্রামের মৃত জয়েন উদ্দিনের ছেলে। তিনি পাকশী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই আলমগীর হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আবুল কালাম আজাদ ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলার মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। তার দুই চোখ অন্ধ ছিল। এছাড়াও কিডনি, ডায়াবেটিসসহ শারীরিক নানা সমস্যা নিয়ে এক বছরের সময় ধরে রাজশাহী কারাগার হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। কারা কতৃপক্ষ মোবাইল ফোনে মৃত্যুর বিষয়টি জানানোর পর আমরা পরিবারের লোকজন রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। আইন প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ নিজ বাড়িতে আনা হবে।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: দণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামির হাইকোর্টে জামিন

ঈশ্বরদী ইউনিয়ন বিএনপির একাংশের সভাপতি আহসান হাবীব জাগো নিউজকে জানান, আবুল কালাম আজাদ সুচিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন। কারাগারে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। অসুস্থ থাকালীন সময়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য একাধিকবার তার জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত তাকে জামিন দেয়নি।

১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর উত্তরাঞ্চলে দলীয় কর্মসূচিতে ট্রেনবহর নিয়ে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। ট্রেনটি ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ঢোকার সময় বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালান। ট্রেনে ব্যাপক গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা চালায়। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।

দীর্ঘ ২৫ বছর পর ২০১৯ সালের ৩ জুলাই পাবনা স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়েরা জজ মো. রুস্তম আলী এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলায় ৯ জনকে মৃত্যুদন্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন ও ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

শেখ মহসীন/আরএইচ/জেআইএম