ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

যমুনা সার কারখানার এমডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলা

জেলা প্রতিনিধি | জামালপুর | প্রকাশিত: ১২:২৮ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ খান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) মো. আব্দুল হামিমের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জামালপুর জেলা যুগ্ম জজ প্রথম আদালতে এই মামলা করেন উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেসার্স মাজেদা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আশরাফুল আলম মানিক।

মামলা সূত্রে জানা যায়, কারখানার আওতাধীন শেরপুর বাফার গুদামের জন্য দেড় লাখ মেট্রিক টন সার বহন ও রি-ব্যাগিং কাজের জন্য গত ১৬ এপ্রিল দরপত্র আহ্বান করা হয়। এই কাজটি দরপত্রের মাধ্যমে আগে থেকেই করে আসছিলেন যমুনা সার কারখানার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাজেদা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আশরাফুল আলম মানিক। কিন্তু দরপত্রের শর্তানুযায়ী কাজ সম্পন্ন ও বিল পরিশোধের আগে নতুন দরপত্র আহ্বান করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় দরপত্র স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতে মামলা করেন মানিক।

গত ৪ জুলাই ওই মামলার শুনানি হয়। এরপর ২৭ জুলাই আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু নির্ধারিত দিনে আদেশ না দেওয়ায় বিবাদীপক্ষ আদালত বদলি চেয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মিস মামলা করেন। ওই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল ২১ সেপ্টেম্বর। কিন্তু বিবাদীপক্ষ আদালতের আদেশের আগেই ১৮ সেপ্টেম্বর ফের দরপত্র আহ্বান ও গ্রহণ করে। পরে এ ঘটনায় মঙ্গলবার যমুনা সারকারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ খান ও উপ-মহা ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) মো. আব্দুল হামিমের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন মানিক।

এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী জাগো নিউজকে বলেন, আদালতের আদেশ থাকার পরেও টেন্ডার কার্যক্রম পরিচালনা করে তারা আদালত অবমাননা করেছেন। তারা যে পুনরায় টেন্ডার আহ্বান করেছেন এ বিষয়ে আমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এ ঘটনায় আদালত অবমাননার মামলা করা হয়েছে।

মেসার্স মাজেদা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আশরাফুল আলম মানিক জাগো নিউজকে বলেন, দরপত্র স্থগিতাদেশ চেয়ে তিনি এর আগে মামলা করেছিলেন। মামলা শুনানির আগেই তারা আবারও দরপত্র আহবান করে কোর্টের আদেশ অমান্য করেন। তাই তিনি আদালত অবমাননার মামলা করেন।

এ বিষয়ে যমুনা সারকারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ খান জাগো নিউজকে বলেন, এর আগে কোর্ট থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এর জবাব আমরা দিয়েছি। এছাড়া মামলায় তিন বার তারিখ পেছানো হয়েছে, কিন্তু কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত আসেনি। সার সরবরাহ একটি স্পর্শকাতর বিষয়। তাই পুনরায় কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এতে কোর্ট ভায়োলেন্স হয়ে থাকলে আমরা জবাব দেবো। এরপর কোর্ট যেটা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই করা হবে।

মো. নাসিম উদ্দিন/এমআরআর/জেআইএম