অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ কিশোরী, পুকুরে মিললো মরদেহ

পঞ্চগড়ে নিখোঁজের ৩৮ ঘণ্টা পর বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ইয়াসমিন আক্তার মোহনা (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২১ অক্টোবর) সকালে আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ইয়াসমিন ওই এলাকার মকবুল হোসেনের মেয়ে এবং স্থানীয় বড়দাপ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আটোয়ারী উপজেলার ফকিরগঞ্জ এলাকার এক তরুণের সঙ্গে সম্পর্কের সূত্রে মোবাইল ফোনে কথা বলতো ইয়াসমিন। এনিয়ে ১৯ অক্টোবর বিকেলে তার মা আসমা খাতুন তাকে বকাঝকা করলে অভিমান করে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সন্ধ্যার পরও মেয়ের খোঁজ না পেয়ে রাতে আটোয়ারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা। তবে ৩৮ ঘণ্টা পর শনিবার সকাল ৭টার দিকে বাড়ির পাশে পুকুরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখেন ইয়াসমিনের খালা তোইয়বা খাতুন। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন: নাশতা তৈরি করছিলেন মা, পুকুরে ডুবে প্রাণ গেলো শিশুর

রাধানগর ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাহিদ বলেন, ইয়াসমিনের বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি যে, সে ফকিরগঞ্জ বাজারের এক দোকানদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতো। কথা বলতে নিষেধ করা পর সে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফেরেনি। পরিবারের ধারণা, সে পানিতে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

আটোয়ারী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা বলেন, ইয়াসমিন সাঁতার জানতো না বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। বাবা মায়ের সঙ্গে অভিমান করে সে পুকুরে ঝাঁপ দিতে পারে অথবা পুকুরের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় পড়েও যেতে পারে। মরদেহ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় আপাতত একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা করা হয়েছে।

সফিকুল আলম/জেএস/এএসএম