শেরপুরে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনী উৎসব
শেরপুরে স্কুল শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ও গবেষণাধর্মী প্রকল্প প্রদর্শন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, কুইজ ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনী উৎসবের প্রথম আসর।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ আয়োজন করা হয়। শ্রেণিভিত্তিক বিজ্ঞান ক্লাবের অংশগ্রহণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস।
কৃষিতে স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার, দূষণমুক্ত স্মার্ট নগরী, ভূমিকম্প সহনীয় ভবনসহ পরিবেশ রক্ষায় নিজেদের উদ্ভাবিত নানা প্রকল্প নিয়ে হাজির হয় খুদেবিজ্ঞানীরা। সবুজে ঘেরা ক্যাম্পাসে বিভিন্ন স্টলে বসে শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত মিলনমেলা। প্রথমবারের মতো এ উৎসবে অংশ নিতে পেরে খুশি খুদেশিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা বলে, ‘আমরা এ উৎসবের মাধ্যমে বিজ্ঞান চর্চার সুযোগ পাই। গ্রুপভিত্তিক কাজের মাধ্যমে সবার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়। আমরা চাই প্রতিবছর এ উৎসব হোক। তাহলে আমাদের বিজ্ঞান চর্চা আরও গতিশীল হবে।’
অথৈ দে নামের আরেকজন বলে, আমাদের জন্য এ উৎসবটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শ্রেণিভিত্তিক পাঠ চর্চার পাশাপাশি বিজ্ঞান ক্লাবের মাধ্যমে বিজ্ঞান চর্চার সুযোগ পাচ্ছি। যা আমাদের ব্যক্তিজীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
প্রতিবছর স্কুলভিত্তিক এ আয়োজনে বিজ্ঞান চর্চার প্রতি ঝোঁক বাড়বে শিক্ষার্থীদের, এমনটাই বলছেন অভিভাবকরা। অভিভাবক মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিবছর এ আয়োজন হলে শিক্ষার্থীরা আরও বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে নিজেদের গড়ে তুলতে পারবে। তাদের বিজ্ঞান চর্চার প্রতিও ঝোঁক বাড়বে।

প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তুলতে নিয়মিত বিজ্ঞান উৎসব আয়োজনের কথা বলেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান। তিনি বলেন, নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার বদলে এসব উৎসবের মাধ্যমে তাদের মূল্যায়ন করা হবে। এতে তাদের পরীক্ষাভীতিও দূর হবে।
শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস বলেন, উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান ক্লাবকে আরও গতিশীল করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিটি বিদ্যালয়েই আমরা বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনী উৎসবের আয়োজন করবো।
ইমরান হাসান রাব্বী/এসআর/এমএস