বিচারকের আদেশ জাল, ইউপি সদস্য কারাগারে
মুন্সিগঞ্জ আদালতের বিচারকের আদেশ জাল করার অপরাধে শংকর ঘোষ (৫৫) নামে এক ইউপি সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শংকর ঘোষ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে মামলা শুনানি শেষে লৌহজং আমলি আদালতের বিচারক ইফতি হাসান ইমরান কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিকেলে তাকে মুন্সিগঞ্জ জেলহাজতে পাঠানো হয়।
শংকর ঘোষ লৌহজং উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও স্থানীয় মৃত শ্রী রাধ্যেরশ্যাম ঘোষের ছেলে।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের মৃত-পাঁচু সরকারের ছেলে সাধন সরকারের সঙ্গে শংকরের টাকা লেনদেনের বিষয়ে লৌহজং থানায় প্রতারণা ও টাকা আত্মসাতের মামলা হয়। ওই মামলায় শংকর ঘোষ আদালতে এসে জামিনে যাওয়ার পর ৫ জুন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নম্বর বিচার আদালতে অভিযোগ শুনানি হয়। এতে উভয় পক্ষের আইনজীবীর শুনানি শেষে বিচারক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। কিন্তু আসামি প্রতারণা করে বিচারকের এ আদেশ নকল করেন এবং নকল খানার কয়েকজনের সই জাল করে সহিমোহর তৈরি করেন।
১৫ জুন হলদিয়া বাজারে শিল্পি টেইলার্স অ্যান্ড ফেব্রিক্সের দোকানে বসে বাদীকে শংকর জানান তাকে কিছুই করতে পারলো না। তিনি বলেন, ‘দেখ আমি এলাকার মেম্বার। আদালত আমাকে অব্যাহতি দিয়েছেন। বাদী পক্ষ আদালত থেকে সহিমোহর উত্তোলন করে জানতে পারেন তা নকল ছিল।
এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, ১৯ জুলাই লৌহজং আমলি আদালতে এসে বাদী আসামির বিরুদ্ধে আদালতের বিচারকের সঠিক আদেশ জাল জালিয়াতি ও নকল সহিমোহর সরবরাহের অভিযোগ তোলেন। বাদী সাধন সরকার নিজে বাদী হয়ে মামলা করলে আদালতের বিচারক মামলাটি এফআইআর হিসেবে লৌহজং থানায় পাঠান। এ খবর পেয়ে আসামি শংকর জামিনের জন্য হাইকোর্টে যান। হাইকোর্ট আসামিকে ছয় সপ্তাহের জন্য আগাম জামিনের আদেশ দিলে আসামি নির্দিষ্ট তারিখে সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির না হয়ে মঙ্গলবার স্বেচ্ছায় লৌহজং আমলি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
এ বিষয়ে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক জামাল উদ্দিন বলেন, আসামি শংকর ঘোষ স্বেচ্ছায় আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আদালতের বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরাফাত রায়হান সাকিব/এসজে/এএসএম