চুয়াডাঙ্গার দুই আসনে আবারও নৌকার মাঝি ছেলুন-টগর
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনেই আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কোনো পরিবর্তন হয়নি। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পুনরায় নৌকার মাঝি হয়েছেন বর্তমান দুই সংসদ সদস্য।
টানা চতুর্থবারের মতো চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আলী আজগর টগর পুনরায় দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেখানে সাংবাদিকদের কাছে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা দেওয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গার ‘ভূমিপুত্র’ হিসেবে খ্যাত আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এরআগে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদে তিনি হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অন্যদিকে, আলী আজগার টগর এবার দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনীত হলেন। এরআগে তিনি ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশ নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি।
গত ১৮ নভেম্বর থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়। ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিনে দলটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া জানান, তিন হাজার ৩৬২টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। এতে ক্ষমতাসীন দলটির আয় হয়েছে ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর, মনোনয়নের আপিল ও নিষ্পত্তি ৬-১৫ ডিসেম্বর আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর।
প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি।
হুসাইন মালিক/এসআর/এমএস